ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির নীচেই দাঁড়িয়েছিলেন মহিলা। আচমকাই ইট পড়ে তাঁর মাথায়। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতার স্বামী। তিনি বলেন, ‘ও ফোনে কথা বলছিল। সেই সময় একটি ইট ভেঙে পড়ে। এভাবে আর যাতে কারও কোনও ক্ষতি না হয় সেই জন্য আমি পদক্ষেপ করব। প্রয়োজনে আইনি লড়াই লড়ব।’ মৃতার স্বামী ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রাতেই ঘটনাস্থলে যান উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস। তিনি জানান, যদি বেআইনি নির্মাণ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে পুরসভা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে উত্তর দমদমে কোনও বেআইনি নির্মাণ বা কাজ হয় না বলেই দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি এবং পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।
অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ৮টার কাছাকাছি সময় এই ঘটনা ঘটে। ছাদের পাঁচিলের একটি অংশ ভেঙে পড়ায় বিপত্তি। এই বাড়িটিতে কর্মরত ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে তার ভিত্তিতে শুরু হবে তদন্ত।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, কিছুদিন আগে গার্ডেনরিচে একটি বহুতল ভেঙে একাধিকজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা এলাকায়। এরপরেই নড়চড়ে বসে পুরসভা। শহরের বেআইনি নির্মাণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর জন্য একটি অ্যাপও চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এই অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল মাধ্যমেই হতে চলেছে।