Kolkata Municipal Corporation : সচেতনতা প্রচারের ২ হাজার কর্মীকেও মশা দমনের ট্রেনিং – kolkata municipal corporation takes initiative to training kmc workers on prevention of dengue and malaria


এই সময়: মশাবাহিত রোগ যাতে কলকাতায় সে ভাবে মাথা তুলতে না-পারে সে জন্য প্রতি বছরই স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয় কলকাতা পুরসভা। আর ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া আটকাতে কী করবেন, কী করবেন না, সেই ব্যাপারে যে পুরকর্মীরা নাগরিকদের সচেতন করেন, তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী নন। তবে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এ বার ওই কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।ইতিমধ্যেই, ১৮ মার্চ শুরু হয়েছে ওই প্রশিক্ষণ, চলবে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। সচেতনতা প্রচারে নিযুক্ত থাকেন, এমন প্রায় দু’হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই পুরকর্মীরা কী প্রশিক্ষণ পাবেন? পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, কোন মশা মারতে কী রকম রাসায়নিক স্প্রে করতে হয়, কত দূর থেকে স্প্রে করতে হয়, সে সব শেখানো হবে ওই কর্মীদের। একই সঙ্গে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার বাহক কোন মশা, সেই বিষয়েও তাঁদের ঠিক ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ডেঙ্গির মশাকে যে কোনও ধরনের রাসায়নিক দিয়ে মারা যায় না। ফলে, ডেঙ্গি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মশা চেনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জন সচেতনতার কাজে নিযুক্ত কর্মীদের ডিজিটাল মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে মশার সঙ্গে পরিচয় করাবেন পতঙ্গবিদরা। রাজ্যের মধ্যে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে গত বছর শীর্ষে ছিল কলকাতা পুরসভা। পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩-এ কলকাতায় সব চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন মশাবাহিত রোগে। সে কারণেই এবার ডেঙ্গির মরশুম শুরু হওয়ার বেশ কিছুটা আগেই মানুষকে সচেতন করার কাজে যাতে কোনও রকম খামতি না-থাকে, সে দিকে কলকাতা পুরসভা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
Dengue Fever : শীত-বসন্তেও হচ্ছে ডেঙ্গি, বঙ্গে এখনও আক্রান্ত ৫৬০

পুরসভার বক্তব্য, কলকাতায় বসতবাড়ির তুলনায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি দেখা যায় আবাসন অর্থাৎ ফ্ল্যাটবাড়িতে। সচেতনতার কাজে নিযুক্ত পুরকর্মীদের অভিযোগ, বহু আবাসনেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলার এবং থানার কাছে সাহায্য নেওয়ার জন্য ওই পুরকর্মীদের বলা হয়েছে।

ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ হলো, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পড়ে থাকা বাড়ি। এই ধরনের বাড়ির আশপাশের বাসিন্দাদের কাছে যাতে পুরকর্মীরা যান এবং তাঁদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণে। এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস। তিনি বলেন,‘সচেতনতার কাজে নিযুক্ত কর্মীদের মশার বিষয়ে সবিস্তার তথ্য জানানোর ফলে তাঁরা আরও ভালো ভাবে সাধারণ মানুষকে সবটা বোঝাতে পারবেন। ফলে, রোগের প্রকোপও কমবে শহরে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *