এদিনের সভায় মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত নিয়েও সরব হন মমতা। তিনি বলেন, ‘ভোটে দাঁড়ানোর পরেও তাঁর বাবা-মা বেচারা কিছু জানেন না, তাঁদের বাড়িতে রেড করে এসেছে। ওদের কাজ মহুয়াকে যেভাবে হোক হারানো। মহুয়াকে আপনারা জেটাবেন। রানাঘাটেও জেতাবেন।’ ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে মহুয়া মৈত্রকে টিকিট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকাছি ব্যাবধানে সেবার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারিয়েছিলেন তিনি। এবার যদিও এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করছে বিজেপি। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির বধূ অমৃতা রায়কে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থীকে নিয়েও এদিন কটাক্ষ শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। টেনে আনেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে ব্রিটিশদের যোগাযোগের বিষয়টি। প্রসঙ্গত, অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের মামলায় লোকসভা থেকে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হয়। পরে লোকপালের নির্দেশে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। এমনকি, কিছুদিন আগে আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকার মাঝেই মহুয়া মৈত্রের কৃষ্ণনগরের বাড়িতে এবং কলকাতায় আলিপুরের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।
বিষয়টি নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। এভাবে আদর্শ আচরণবিধি থাকার মাঝে সিবিআই তদন্ত চালাতে পারে কিনা, কোনও প্রার্থীর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারে কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন মহুয়া। ভোটের মাঝে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির পদক্ষেপ নির্দিষ্ট গাইডলাইন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেন মহুয়া। বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করার একটি মামলায় তাঁকে ইডি তলব করে দুদিন আগেই। ইডি তলব এড়িয়ে নিজের প্রচারেই ব্যস্ত ছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে কৃষ্ণনগর আসনটি এবারের লোকসভা নির্বাচনেও জিততে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস, সেই বার্তাই এদিনের জনসভা থেকে দিয়ে যান তৃণমূল নেত্রী।