গতকাল পর্যন্ত রাজ্যের চারটি আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি ছিল বিজেপির। শনিবার রাতে বীরভূম এবং ঝাড়গ্রাম আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয় বিজেপির তরফে। তবে, এখনও বাকি আসানসোল এবং ডায়মন্ড হারবার। প্রার্থী না ঘোষণায় হওয়ায় বিজেপির নিচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে জমছে হতাশা। বিষয়টি নিয়ে এবার বিজেপিকে খোঁচা মমতারও।নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মহুয়া মৈত্রের হয়ে প্রচারে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘এরা প্রার্থী দিতে পারে না, এত বড় রাজনৈতিক দল। ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স করে যাচ্ছে… খালি বড় বড় কথা।’ গতকালই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘যে চারটি আসনে প্রার্থী দিতে পারছেন ইডি, সিবিআই, এনআইএ, ইনকামট্যাক্সের ডিরেক্টরদের ওই চার কেন্দ্রে প্রার্থী করে দিন। ওঁরা অনেক তল্পিবাহকতা করেছেন। মেঘনাদের মতো মেঘের আড়ালে না থেকে এবার আসুন জনতার দরবারে।’
Mahua Moitra : ‘ED ডেকেছে’, জবাবে মহুয়া টুইস্ট
খানিকটা সেই একই সুরে এদিন বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা। যদিও, বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য স্তরে আলোচনা করে তবেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। দলের সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই সেই কাজ চলছে। এখানে প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ার মতো কোনও বিষয় নেই। যদিও, লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও সব আসনে প্রার্থী দিতে না পারা নিয়ে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে দলের নিচু স্তরে।
Mamata Banerjee : ‘কী অত্যাচার করেছে দেখেছেন…’, কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে মহুয়াকে জেতানোর কারণ ব্যাখ্যা মমতার
প্রসঙ্গত, বিজেপির যে দুটি আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা বাকি আছে, তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার। রাজ্যের অন্যতম চর্চার কেন্দ্র হল ডায়মন্ড হারবার। এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই প্রার্থী চয়নে দেরি হলে আখেরে লাভ হচ্ছে তৃণমূলেরই বলে দাবি রাজনৈতিক মহলে। এছাড়াও আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রথম দফায় প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেও সেই কেন্দ্রে প্রার্থী পবন সিং প্রত্যাহার করে নেন। ফলত, সেই কেন্দ্রের প্রার্থী বাছাই নিয়েও কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।