এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের নাম আমার দেওয়া। ভোটের পর দেখে নেব। বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া, আর একটা লেজুড় মুসলিম পার্টি হয়েছে। এখানে তো জোট নয়, ঘোট হয়েছে। তৃণমূল এক দিকে অন্যদিকে, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি।’
এদিন এজেন্সি রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সংযোজন, ‘আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, তাঁর বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স রেড করতে গিয়েছিল। আমি বললাম তিন দিন ধরে ওরা কী করল বাড়িতে! ও বলল দিদি আর বলবেন না, আমার দুটো বাচ্চা। তিন দিন ধরে বাথরুম যেতে পারিনি। আমরা রান্না করতে পারিনি। বাচ্চারা স্নান করবে কী ভাবে জানে না। ১৬ জন গিয়ে বসে রয়েছে একটা বাড়িতে যেখানে বাচ্চা রয়েছে।’
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বাংলায় BJP গো হারা হারবে এই কথা লিখে নিন। আমরা ৯ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা দিই, ২ কোটি ১৩ লাখ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিই। কোনওদিন বন্ধ হবে না তৃণমূল থাকবে।’ এদিন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহুয়াকে লোকসভা থেকে তাড়িয়েছে কারণ ও জোরে কথা বলত, মানুষের কথা বলত, বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলত। ওকে আবার জেতাবে মানুষ।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশের বেকারত্ব বেড়েছে বলে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কাউকে কাউকে ফোন করে বাজারে ছেড়ে দেন। তাহলে সিক্রেট কী রইল। পেগাসাসের দরকার নেই। নিজেই পেগাসাস হয়ে বসে রয়েছেন। যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন তিনিও এই সরকারের স্বাস্থ্য সাথী পান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। একজনকে আমি চিনি কিন্তু, নাম বলব না।’ এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।