Congress West Bengal : BJP প্রার্থীর সঙ্গে ‘গোপন আঁতাত’-এর অভিযোগ, কংগ্রেসের ৫ নেতাকে বহিষ্কার অধীরের – birbhum congress leader suspend 5 leader claim their behaviour was change after bjp make ips debasish dhar candidate


কেষ্টভূমে BJP-র প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন IPS অফিসার দেবাশিস ধর। শীতলকুচির ঘটনার সময় তিনি ছিলেন পুলিশ সুপার। এদিকে দেবাশিস ধরকে BJP প্রার্থী করার পর জেলা রাজনীতির অভ্যন্তরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।এবার দেবাশিস ধরের প্রার্থী হওয়ার পর কিছু দলীয় কর্মীর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচজনকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। সোমবার কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ সহ অন্যান্য নেতারা বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিল্টন রশিদ জানান, মৃণাল বোস ( জেলা কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি), সঞ্জয় অধিকারী (প্রাক্তন সভাপতি, অধুনা পদহীন), PCC-র সদস্য অপূর্ব চৌধুরী , রথীন সেন , সত্যব্রত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। অধীর চৌধুরী মৌখিকভাবে সাসপেন্ড করেছে তাঁদের, দাবি করেন মিল্টন।

BJP দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করার পরেই এই নেতাদের ‘আচরণ’ বদলে গিয়েছিল বলে দাবি মিল্টনের। তিনি বলেন, ‘এরা অনেকেই পার্টিটাই করেন না। কিন্তু, কংগ্রেসের নাম ভাঙিয়ে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। দেবাশিস ধর এই বীরভূম জেলায় কর্মরত ছিলেন। সেই সূত্রে এখানকার দু’একজন নেতার সঙ্গে তাঁর দারুণ সম্পর্ক। পশ্চিমবঙ্গে বাম কংগ্রেস জোট যখন তৃণমূল এবং বিজেপিকে আটকানোর রাস্তায় প্রায় পৌছে গিয়েছে সেই সময় কিন্তু, দেখলাম দেবাশিস ধর প্রার্থী হওয়ার পর তাঁদের আচার আচরণ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে কংগ্রেসের কিছু শতাংশ ভোট যাতে দেবাশিস ধরের দিকে যায় সেই চক্রান্ত করছিল।

অন্যদিকে, বহিষ্কার প্রসঙ্গ সামনে আসার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃণাল বসু। তিনি বলেন, ‘ অধীর চৌধুরী কেন বহিষ্কার করলেন সেটা তিনিই বলতে পারবেন। কিছু অভিমান ছিল, আর তা থাকতেই পারে। আমরা তা নিয়ে অধীর চৌধুরীকে অনেকবার বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, তিনি শোনেন না। ভাবেন এখানে মিলটন ছাড়া আর কেউ নেই। অধীর চৌধুরী তো আমাদের বহিষ্কার করতে পারেন না, বহিষ্কার করতে গেলে এআইসিসি করবে।’ প্রার্থী নির্বাচনের আগে আলোচনার প্রয়োজন ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

‘বিশ্বকাপ কতজন ছুঁতে পারেন?’ পোস্টারে সচিনের ছবি প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা ইউসুফের

লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ নিয়ে জেলা রাজনৈতিক মহলের অন্দরেই আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিশেষ আমল দিতে নারাজ তৃণমূল এবং BJP। এই দুই দলের নেতারাই পুরো বিষয়টি কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ প্রসঙ্গ বলে দাবি করেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *