ঠিক কী বলেছেন সুজাতা?
এদিন তিনি বলেন, ‘কীর্তনের তালে তালে আমি নাচতে শুরু করলাম। মনে হচ্ছিল বৃন্দাবনে রাধিকাও বোধহয় একইরকমভাবে নাচতো। আমারও আজ মনে হল আমিও আমার কৃষ্ণের সঙ্গে রাধিকা হয়ে গিয়েছি। আমার কৃষ্ণ আপনারা সকলে, আপনাদের ভালোবাসা। আমি কোনওদিন খোল বাজাইনি। এত সুন্দর খোল বাজাতে পারব ভাবিনি। মনে হয় সবটা প্রভুর কৃপা। সবই প্রভুর লীলা।’তিনি আরও বলেন, ‘রাধিকা যেমন নিজের গোটা জীবনটা কৃষ্ণের চরণে উৎসর্গ করে দিয়েছিল, তেমনই আমি গোটা জীবনটা বিষ্ণুপুরের মানুষের চরণে উৎসর্গ করে দিয়েছি। রাধা মানে ত্যাগ। আমি বিশ্বাস করি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত বিষ্ণুপুরের জন্য মনটা কাঁদবে।’ সুজাতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে চরম কটাক্ষ করেছেন BJP নেতা। এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর জেলা বিজেপির সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, ‘তিনি আজ নিজেকে রাধিকা ভাবছেন, কাল ভাববেন হেমা মালিনী, পরশুদিনে শ্রীদেবী ভাববেন। ওঁকে ভাবতে দিন । পাগল হয়ে গেছেন তিনি।’
সবমিলিয়ে সুজাতা মণ্ডলের এই মন্তব্যের পর নতুন করে জেলা রাজনীতিতে হইচই পড়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই প্রচারের ফাঁকে একটি সেলুনে গিয়ে চুল কাটতে দেখা যায় সুজাতা মণ্ডলকে। তিনি এক গ্রাহকের চুল কাটেন। রাতারাতি সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়।
এরপর বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকেও একটি সেলুনে গিয়ে জনসংযোগ করতে দেখা যায়। চুল কাটেননি তিনি। তবে বসে গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। এরপরেই সরব হয়েছিল তৃণমূল। সুজাতা মণ্ডলের প্রচার কৌশলকে অনুকরণ করছেন সৌমিত্র,ওঠে এমনও অভিযোগ।
যদিও সেই আক্রমণে আমল দেয়নি বিজেপি। বরং সৌমিত্র খাঁ প্রচারের নিরিখে অনেকটাই এগিয়েছিল বলে দাবি করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের নির্বাচনে মুখোমুখি এই প্রাক্তন জুটি।