২০১৯ লোকসভা ভোটে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টির মধ্যে ৫১টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এর মধ্যে ছিল দক্ষিণ কলকাতার ৩৩টি ওয়ার্ড, ১৮টি উত্তরের। যদিও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৪-এর মধ্যে ১৩২টি ওয়ার্ডেই ঘাসফুল এগিয়ে যায়। বাকি ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১টিতে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস, বাকি ১১-তে বিজেপি।
অতীতের সেই পরিসংখ্যান মনে করিয়ে কাউন্সিলারদের কাছে শাসকদলের বার্তা, গত বিধানসভা এবং পুরভোটের থেকেও ভালো ফল করতে হবে ওয়ার্ডে। ঘরে বসে না-থেকে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। শনিবারের কর্মিসভায় ফিরহাদ কাউন্সিলারদের বলেন, যে এলাকায় শেষ লোকসভা ভোটে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পুরসভা ও বিধানসভায় তৃণমূল প্রচুর ভোট পেয়েছে, সেখানকার জন্য পৃথক পরিকল্পনা নিতে হবে।
রোজ অন্তত ৫টি বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দাদের মোদীর সঙ্গে দিদির প্রকল্পের পার্থক্য বোঝাতে হবে। লক্ষীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীতে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, জানাতে হবে। কর্মিসভায় দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার কাউন্সিলারদের বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশেও সারাবছর থাকার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন ভোটবাক্স খুললে শুধু ঘাসফুল বেরিয়ে আসবে।’
কলকাতার যে সব ওয়ার্ডে পুরভোটে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল, সেখানকার মানুষের কী নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে, তা জানতে ওই সমস্ত ওয়ার্ডের নেতাদের যতটা সম্ভব এলাকায় ঘুরে মতামত জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। বাসিন্দাদের মনে পুর পরিষেবা বা অন্য কোনও কারণ নিয়ে ক্ষোভ জমে থাকলে তাতে প্রলেপ দিতে যা যা করণীয়, করতে বলা হয়েছে। হেরে যাওয়া ওয়ার্ডের সংগঠনকেও মজবুত করতে বলা হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে।
