প্রসেনজিৎ সরদার: “আইএসএফ নাকি মিনিটে মিনিটে বোম ফাটায় তো আজকে একটা চকলেট ফাটিয়ে দেখাও তবে বলব তোমরা বাপের বেটা। এবারে ভাঙড়ে খেলা হবে। তৃণমূল দলকে যত বেশি তাতাবে তৃণমূলের কর্মীরা তত বেশি গর্জে উঠবে। একটা কথার কথা আছে, পাগলা খাবি কি রে, ঝাঁজেই মরে যাবি। সবে তো শুরু। ভাঙড়ের মাটিতে যতক্ষণ না পর্যন্ত ঘাসফুল ফুটবে, ততদিন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই চলবে। কেউ আটকাতে পারবে না এখানে।” একটার পর একটা হুমকি শোনা গেল শওকত মোল্লার সভা থেকে।
এখানেই শেষ নয়। রাজনৈতিক সভা থেকে শওকত মোল্লা আরও হুমকি দেন যে, “লোকসভা নির্বাচনের পর আইএসএফ এই দলটা-ই বাংলা থেকে উঠে যাবে। না গেলে আমি রাজনীতির ময়দানে পা রাখব না। আইএসএফ সংসার করছিল সিপিআইএমের সঙ্গে। সিপিআইএম তালাক দিয়ে দিয়েছে। সিপিআইএম, কংগ্রেস আর নিচ্ছে না। নেবে কি করে? ৪ পয়সার খুদে, ৪২টা সিটের মধ্যে ২২টা সিট দাবি করে। ভাবতে অবাক লাগে। ভাঙড়ে লোকসভা ভোটে ৫০ হাজার ভোটে হারাব। দায়িত্ব নিয়ে আমি বলে যাচ্ছি।” ভাঙড়ের মাজের আইটে আইএসএফের শক্ত ঘাঁটি। নওশাদ সিদ্দিকির আঁতুর ঘর বলে জানা যায়। সেই শক্ত ঘাঁটি মাঝের আইটেই সভা আর সেই সভা থেকে আইএসএফকে হুঁশিয়ারি দিলেন শওকত মোল্লা।
বলা যেতে পারে পুলিসের ঘেরাটোপে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় বহুদিন পরে পা রাখলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। আর পা দিয়েই আইএসএফকে ছেড়ে কথা বললেন না তিনি। যদিও শওকত মোল্লার হুঁশিয়ারিতে আইএসএফ-এর কিছু আসে যায় না বলে দাবি আইএসএফ কর্মীদের।
আরও পড়ুন, Sandeshkhali: শাহজাহানকে বাঁধতে এবার ইডির হাতিয়ার রাজ্য পুলিসের ১৩ এফআইআর!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)