যদিও আদালতের নির্দেশ, এখনই ওই চার্জশিট প্রত্যাহার করতে হবে। সিআইডির ওই অতিরিক্ত চার্জশিটে শেখ শাহজাহানের সঙ্গেই নাম রয়েছে বাবু মাস্টারের। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে ওই চার্জশিট সিআইডি যদি প্রত্যাহার করেও, বাবু মাস্টার ওরফে ফিরোজ কামাল গাজির নাম যুক্ত হওয়া রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
কারণ, ২০১৯ সালে সন্দেশখালির ন্যাজাটে ওই তিন খুনের ঘটনার সময় তিনি ছিলেন তৃণমূলে। পরে বিজেপিতে যোগ দিলেও ফের দূরত্ব বাড়িয়েছেন। তৃণমূলে তিনি কামব্যাক করছেন কিনা, সেই জল্পনার মধ্যেই তিন খুনের চার্জশিটে তাঁর নাম থাকা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
হাইকোর্টে শুনানিতে একটি ই-মেল দেখিয়ে নিহতদের পরিবারের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য দাবি করে, এখনও জমা দেওয়া হয়নি, জমা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আদালত জানিয়ে দেয়, আবেদন একটা ফর্মালিটি।
বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে না এলে তা বিচার-প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতো। এর পরেই আদালতের নির্দেশ, কাল, বুধবার এই তিন খুনের মূল কেস ডায়েরি হাজির করতে হবে আদালতে। নিহতদের পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। কিন্তু এখনও তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে রাজ্য।
২০১৯ সালে ওই তিন খুনের ঘটনায় নিহতদের পরিবার যে এফআইআর করেছিল, তাতে শেখ শাহজাহান, বাবু মাস্টার-সহ অনেকের নাম ছিল। সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতে জমা দেওয়া অতিরিক্ত চার্জশিটে ওই দু’জন-সহ মোট ৪২ জনের নাম রয়েছে। এক সময়ে সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকে সন্দেশখালি, হাসনাবাদে গায়ের জোরে ভোট করানোর ক্ষেত্রে দুর্নাম ছিল বাবু মাস্টারের।
তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় হাফডজন ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু ২০২০-তে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেন। যোগ দেন বিজেপিতে। শেখ শাহজাহান সম্প্রতি সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পর বাবু মাস্টারের ফের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা চলছে। তার মধ্যেই সিআইডির চার্জশিট নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত কিনা, তা নিয়ে জল্পনা বেড়েছে।