Heatwave In West Bengal : দক্ষিণবঙ্গে জারি মরশুমের প্রথম হিট ওয়েভ সতর্কতা – alipore meteorological department has issued heat wave warning in south bengal


এই সময়: দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পারদ চড়ছে গত ক’দিন ধরেই। এরমধ্যে সোমবার, ১ এপ্রিল দুপুরেই দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা ঘোষণা করল আলিপুর হাওয়া অফিস। এমন সতর্কবার্তা মরশুমে এই প্রথমবার। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই মরশুমে প্রথমবার বাংলা ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করেছে। রবিবার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।খুব পিছিয়ে ছিল না পুরুলিয়া (৩৮.৫), আসানসোল (৩৮.৪) এবং মেদিনীপুরও (৩৮)। সুতরাং ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে যে গরমকে অন্তত দিন পনেরো ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিল দক্ষিণবঙ্গ, শেষ পর্যন্ত সে যে এসেই পড়েছে, তাতে সন্দেহের কোনও জায়গা ছিল না। সোমবার দুপুরে আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়ে দিল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বেশ কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ চলবে আপাতত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব ক’টি জেলাতেই অত্যন্ত অস্বস্তিকর আবহাওয়া জারি থাকবে, এমনটাও রয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের স্পেশ্যাল বুলেটিনে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির কমলা সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

আবহবিদদের মতে, তাপপ্রবাহ আবহাওয়ার একটি বিশেষ অবস্থা। সমতলে তাপপ্রবাহের জন্য অন্তত দু’টি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, কোনও জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অন্তত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৬ ডিগ্রি থেকে ৬.৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি হতে হবে। সামনের কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এমনটাই হতে চলেছে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।

সোমবার সন্ধেয় হাওয়া অফিস যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যাওয়ায় এদিন রাজ্যের মধ্যে উষ্ণতম ছিল পানাগড়। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও সোমবার ৪০ ডিগ্রির ঘর ছুঁয়েছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রবিবারের চেয়ে দু’ডিগ্রিরও বেশি বেড়ে ৩৭.১ ডিগ্রি হয়েছে। সংলগ্ন সল্টলেক (৩৮.৮) ও দমদমের (৩৮.৫) সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও যথেষ্টই চড়া ছিল।

ভ্যাপসা গরমে নাজেহার শহরবাসী, স্বস্তির বৃষ্টি কবে? জবাব হাওয়া অফিসের

দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দাদের অবশ্য চিন্তার বিষয় অবশ্য শুধু গরমের সঙ্গে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলকাতায় ধর্মতলা চত্বরের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থাকলেও ‘রিয়েল ফিল’ বা গরমের প্রকৃত অনভূতি ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমতুল। কীভাবে এই ‘রিয়েল ফিলের’ হিসেব কষা হয়, তা নিয়ে আবহবিদরা বলছেন, ‘কোনও একটা জায়গায় সেই সময়ের তাপমাত্রা, বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং মাটির পাঁচ ফুট উপরে বাতাসের গতি কত—সেই তথ্যগুলো দিয়ে হিসেব কষা হয়।’

তবে, এই হিসেব কতটা যথার্থ, তা নিয়ে আবহবিদদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তাঁদের অনেকেই মনে করেন, এক একজন মানুষের কাছে গরমের অনুভূতি এক এক রকম। এমনকী আলাদা ধরনের পোশাক পরলেও এই ‘রিয়েল ফিল’ বদলে যেতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *