যে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে, সেই বাড়ির এই বাসিন্দা জানিয়েছেন, সকালে ঘরের কাজের মাঝেই তিনি একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। তাঁদের তরফে পাশের বাড়িটিতে যে প্রোমোটারির কাজ চলছিল, তাঁদেরকে সাবধানে কাজ করার জন্য বলা হয়েছিল। তারপরেই অসাবধানতাবশত কাজ করার কারণে এই অবস্থা হল বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
কিছুদিন আগেই গার্ডেনরিচ একাজায় একটি নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে পড়ে যায়। এই কাণ্ডের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন মানুষ। এরপরেই দমদমের বিরাটি এলাকাতেও একটি বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এই দুই ঘটনার পরেই ফের আবার পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। মাঝে কলকাতা পুরসভা এলাকায় চেতলা এলাকাতেও একটি বাড়ির কার্নিশ ভেঙে পড়েছিল। একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে একটি অ্যাপ নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পুরসভা এলাকায় ঘুরে ঘুরে বেআইনি নির্মাণের ব্যাপারে তদারকি করছেন পুর কর্তারা। কোথাও বেআইনি নির্মাণ দেখলেই তার ছবিও তুলে রাখছেন তারা। বেআইনি নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত নোটিশ পাঠানোর কাজ করা হচ্ছে। অবৈধ নির্মাণ রুখতে ১৫ দিন অন্তর পুলিশ এবং পুরসভা বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরপরেও বেশ কিছু জায়গায় প্রোমোটারির দৌলতে অবৈধ নির্মাণ চলছে বলে দাবি অনেকের।