ঋতভাষ চট্টোপাধ্যায় | এই সময় ডিজিটাল
সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই মাঝে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা বর্তমানে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। বসিরহাটের এসডিপিও থাকাকালীন তিনি কীভাবে শেখ শাহজাহানকে দেখেছেন, বললেন সেই কথাও।দেবাশিস ধর বলেন, ‘এই আমলে অনেক ভালো ভালো লোক থাকা সত্ত্বেও আমার মনে হয় যাঁরা সমাজের প্রথম সারির, বা বুদ্ধিজীবী, তথাকথিক বুদ্ধিজীবী বলতে যা বোঝায়, শিক্ষা সংক্রান্ত যাঁদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের বাইপাস করে বেশকিছু এমন লোক এসেছেন…, যেমন শাহজাহান শেখ (শেখ শাহজাহান)। আমি শাহজাহান শেখকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমি বসিরহাটের এসডিপিও ছিলাম ২০১০-১১ সালে। শাহজাহান শেখের তখন কাজ ছিল, সন্দেখশালি থানার বাইরে বসে থাকত। সন্দেশখালি থানা নদী পেরিয়ে যেতে হয়। ওই দ্বীপে তখন কিছু পাওয়া যেত না। আমি চা খেতে ভালেবাসতাম। চা-কফির বিষয়ে আমি খুব শৌখিন। ওকে (শেখ শাহজাহান) বলত, যা সাহেবে এসেছেন, ভালো চা পাতা আর বিস্কুট নিয়ে আয়। ও তখন নদী পেরিয়ে গিয়ে চা আর টোস্ট বিস্কুট নিয়ে আসত। সে হয়ে গেল নেতা শুধু নয় জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ।’
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে শেখ শাহজাহানের নাম। রেশন বণ্টন দুর্নীতির তনন্তে নেমে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খোলেননি। এদিকে ইতিমধ্যেই ইডির অভিযানের খবর পৌঁছে যায় শাহজাহানের অনুগামীদের কাছে। তারপরেই সেখানে ভিড় জমা/ শাহজাহানের অনুগামীরা। ইডি আধিকারিকদের উপরে তাঁরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলায় গুরুতর জখম হন ৩ ইডি আধিকারিক। আহত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও।
সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই মাঝে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা বর্তমানে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। বসিরহাটের এসডিপিও থাকাকালীন তিনি কীভাবে শেখ শাহজাহানকে দেখেছেন, বললেন সেই কথাও।দেবাশিস ধর বলেন, ‘এই আমলে অনেক ভালো ভালো লোক থাকা সত্ত্বেও আমার মনে হয় যাঁরা সমাজের প্রথম সারির, বা বুদ্ধিজীবী, তথাকথিক বুদ্ধিজীবী বলতে যা বোঝায়, শিক্ষা সংক্রান্ত যাঁদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের বাইপাস করে বেশকিছু এমন লোক এসেছেন…, যেমন শাহজাহান শেখ (শেখ শাহজাহান)। আমি শাহজাহান শেখকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমি বসিরহাটের এসডিপিও ছিলাম ২০১০-১১ সালে। শাহজাহান শেখের তখন কাজ ছিল, সন্দেখশালি থানার বাইরে বসে থাকত। সন্দেশখালি থানা নদী পেরিয়ে যেতে হয়। ওই দ্বীপে তখন কিছু পাওয়া যেত না। আমি চা খেতে ভালেবাসতাম। চা-কফির বিষয়ে আমি খুব শৌখিন। ওকে (শেখ শাহজাহান) বলত, যা সাহেবে এসেছেন, ভালো চা পাতা আর বিস্কুট নিয়ে আয়। ও তখন নদী পেরিয়ে গিয়ে চা আর টোস্ট বিস্কুট নিয়ে আসত। সে হয়ে গেল নেতা শুধু নয় জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ।’
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে শেখ শাহজাহানের নাম। রেশন বণ্টন দুর্নীতির তনন্তে নেমে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খোলেননি। এদিকে ইতিমধ্যেই ইডির অভিযানের খবর পৌঁছে যায় শাহজাহানের অনুগামীদের কাছে। তারপরেই সেখানে ভিড় জমা/ শাহজাহানের অনুগামীরা। ইডি আধিকারিকদের উপরে তাঁরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলায় গুরুতর জখম হন ৩ ইডি আধিকারিক। আহত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও।
এরপর থেকেই দীর্ঘদিন বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান। এদিকে এরই মাঝে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা সন্দেশখালি এলাকা। শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে উঠতে থাকে একের পর এক অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান। পরে অবশ্য আদালতের নির্দেশে শাহজাহানকে তুলে দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। আর সম্প্রতি সংশোধনাগারে গিয়ে শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তবে সেই জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।