এরই মাঝে খাড় অঞ্চলের গোড়াপত্তনকারী বিজেপি নেতা সুবল পাহাড়ি সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব সমর্থক, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে। যোগদানের পর সুবল পাহাড়ি জানান, বিজেপি দলে গ্রুপ বাজি চলছে। কেউ কাউকে মানে না। আমার বুথে যে বিজেপিকে গালাগালি করছে, সে তারপরে ব্লক নেতা হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই বিজেপির উপর আস্থা হারিয়ে তিনি তৃণমূলের যোগদান করলেন বলে জানান।
এদিন নিজে বাইক চালিয়ে গোটা পটাশপুর বিধানসভা দাপিয়ে বেড়ালেন কাঁথি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক। জনসংযোগের পাশাপাশি বয়োজ্যেষ্ঠদের আশীর্বাদ গ্রহণ করে, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘পটাশপুরে একুশের থেকে মানুষের উন্মাদনা অনেক বেশি। মানুষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিয়েছে, ২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতবর্ষের মসনদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে হটিয়ে দিতে হবে। সময়ের অপেক্ষা করুন মানুষের রায় প্রদান করবেন, আমার স্থির বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেস বিপুলভাবে জয়যুক্ত হবে।’
তবে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে কে শেষ হাসি হাসবে, উত্তম বারিক নাকি সৌমেন্দু অধিকারী? তা বোঝা যাবে ৪ জুন ভোট গণনার পরে। উল্লেখ্য, গতবার এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারী। পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর বেশ কিছুদিন বাদে তিনিও বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। যদিও, বয়সজনিত কারণে এবার আর তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ে নেই। তার বদলে এবার বিজেপির তরফে টিকিট দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে।