গত ২৮ মার্চ বিশ্বভারতীর ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট কমিটিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিন ছাত্রী৷ পরে শান্তিনিকেতন থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় এদিন বিক্ষোভ দেখান বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা৷
সোমবার বিশ্বভারতীর ভাষা ভবনের আরবি বিভাগের ওই অতিথি অধ্যাপককে দেখতে পান ছাত্রছাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তাঁর বসার ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর পরে ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রছাত্রীরা। পরে অধ্যাপককে বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা।
বিক্ষোভ চলাকালীন বিশ্বভারতীর ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগকারী ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগকারী ছাত্রীরা বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি৷ তাই আমাদের বন্ধুরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ওই অধ্যাপককে না সরালে আমরা ক্লাস করব না৷ রাতের পর রাত আমাদের মানসিক নির্যাতন করে মেসেজ করত। আমরা ওর কাছে ক্লাস করব না।’
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভিডিউফা, অতিথি অধ্যাপক দ্বারা ছাত্রীদের হেনস্থার অভিযোগের তদন্তসাপেক্ষে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। তদন্তকালীন সময়ে অভিযুক্ত বিশ্বভারতীতে প্রবেশ করবেন না এটাই বাঞ্ছনীয়। প্রাক্তন উপাচার্য নিজে হেনস্থাকারী হওয়ার কারণে সমস্ত যৌন হেনস্থায় মদত দিয়ে এসেছেন। সেই ধারা এখন বন্ধ হওয়া দরকার। বিশ্বভারতীর বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সৃষ্ট আইসিসি এখনও দায়িত্বে, যারা প্রাক্তন উপাচার্যের নির্দেশে পক্ষপাতমূলক তদন্ত চালানোর জন্য হাইকোর্টের ভর্ৎসনা, স্থগিতাদেশ এবং জরিমানা খেয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে আমরা আইসিসি পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি।’