বিপদগ্রস্ত যাত্রীরা যাতে দ্রুত পুলিশি সাহায্য পান, সে জন্যেই বাস, পুলকার, স্কুলবাস, ট্যাক্সিতে ‘ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ (ভিএলটিডি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাসে একাধিক প্যানিক বাটন থাকার কথা। বাটন পুশ করলে কন্ট্রোলরুম হয়ে বিপদ সঙ্কেত ওই গাড়িটি যে এলাকায় রয়েছে, তার নিকটবর্তী থানায় পৌঁছনোর কথা। পুলিশ গাড়িটির লাইভ লোকেশন পেয়ে দ্রুত পৌঁছে যাবে। সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও শুরু হয়েছিল ‘ভিএলটিডি’ বসানোর কাজ।
প্রথম যে সংস্থা ওই ডিভাইস বিক্রির বরাত পায়, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। ডিভাইসের দামও ছিল আকাশছোঁয়া। অভিযোগ পেয়ে পরবিহণ দপ্তর আরও কিছু সংস্থাকে ডিভাইস বিক্রির অনুমতি দেয়। দামও নাগালের মধ্যে আসে। বর্তমানে একটি ডিভাইস বসাতে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
কিন্তু সারা বাংলা বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘ডিভাইস ঠিকমতো তো কাজই করছে না! বাটন পুশে কন্ট্রোলরুমে বার্তা পৌঁছচ্ছে না। যানবাহনের লোকেশন দেখা যাচ্ছে মোবাইলে। সে তো জিপিএস ট্র্যাকার লাগালেই চলে। এই অবস্থায় আমরা মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি, যতদিন না ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত হচ্ছে, ততদিন সময় দেওয়া হোক বাস-মালিকদের।’
অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড, শহর-শহরতলি বাস সার্ভিস, পুলকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, নর্থ বেঙ্গল প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটিও চিঠি দিয়েছে মন্ত্রীকে। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহনের মালিকদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। ওঁদের পুরো অভিযোগ ঠিক নয়। তবে এত বড় কাজে সময় লাগবেই। কিন্তু যে সব সংস্থার বিরুদ্ধে ত্রুটিযুক্ত ডিভাইস দেওয়ার অভিযোগ, তাদের বাতিল করা হবে বা অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।’