উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য উদ্যোগী মমতা, অনুমতি চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ রাজ্য – mamata banerjee intended to make home for north bengal disaster affected family


‘মিনি টর্নেডো’-য় জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখান থেকে আলিপুরদুয়ারে জানান। আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাত এবং আট এপ্রিল তিনি যাবেন যথাক্রমে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া।বুধবার চালসায় চা শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দশ লাখ মানুষের জীবিকার উপর সংকট তৈরি হয়েছে কেন্দ্রের একটি নির্দেশে, এমনই তথ্য সামনে রেখে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রের একটি নির্দেশ চা শিল্পে যুক্ত শ্রমিকদের পেশাগত দিক থেকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ইঙ্গিত তাঁর। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে প্রায় ১০ লাখ চা শ্রমিক রয়েছেন, যাঁদের জমির সীমানা ৫ বিঘা পর্যন্ত। যেখানে এক একটা বড় চা বাগানে ২৫০ একর, ৫০০ একরও থাকে। এরা নিজেরাই নিজেদের চা পাতাটা তৈরি করে। এদের চা শ্রমিক বা কৃষক বলা যায়। যাঁদের পাতা তৈরির কারখানা, তাঁরা এদের থেকে কেনেন। এতেই ওদের চলে যায়। কিন্তু, ২০১৫ সালে টি বোর্ড একটা নির্দেশ দেয় যে এদের এখানে কিছু পোকা মাকড়ের জন্য তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

তাঁর সংযোজন, ‘কিন্তু, পরে খবর নিয়ে জানলাম যে এদের কোনও সময় দেওয়া হয়নি। কী পোকা তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। আসল ঘটনাটা জানতেও দেওয়া হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন এই ১০ লাখ চা শ্রমিকরা। তাঁরা বেকার হয়ে গিয়েছেন। আমি ওঁদের অনুরোধ করেছি যাতে কাজ ওঁরা বন্ধ না করেন। নির্বাচনের পর সায়েন্টিস্টদের সঙ্গে কথা বলব।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আগে বাংলার লোককে টি বোর্ডে রাখা হত, পোর্টে রাখা হত, হলদিয়া বন্দর, ডিভিসিতে রাখা হত। এখন আর আমাদের কাওকে রাখা হয় না। ওদের বিষয়টা ওদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমাদের হাতে যতটা করার আমরা করব। ওদের যাতে ব্যবসা বন্ধ না হয় সেই বন্দোবস্ত করব।’

ঝড়ে সর্বহারাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিন চালসায় মঙ্গলবাড়ি বাজারে রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি দোকানে ঢুকে চা বানাতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন করা হয়, কিছু এলাকায় এখনও ত্রাণ পৌঁছছে না। এরই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে প্রভাবিত হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছবে।

Mamata Banerjee : পাবলিসিটির কী প্রয়োজন! নমোকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর

এরই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকার মেশিন নয়। সবার কাছে পৌঁছনোর কথা বলা হয়েছে। কিছু দূরে দূরে রয়েছে। কেউ কেউ হয়তো আত্মীয়দের বাড়ি রয়েছেন। বিপর্যয়ে যাঁরা প্রভাবিত তাঁরা সকলেই ত্রাণ পাবেন।’ পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশনের থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, যেহেতু বর্তমানে আদর্শ আচরণবিধি লাগু রয়েছে তাই অনুমতি বাধ্যতামূলক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *