কেন্দ্রের একটি নির্দেশ চা শিল্পে যুক্ত শ্রমিকদের পেশাগত দিক থেকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ইঙ্গিত তাঁর। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে প্রায় ১০ লাখ চা শ্রমিক রয়েছেন, যাঁদের জমির সীমানা ৫ বিঘা পর্যন্ত। যেখানে এক একটা বড় চা বাগানে ২৫০ একর, ৫০০ একরও থাকে। এরা নিজেরাই নিজেদের চা পাতাটা তৈরি করে। এদের চা শ্রমিক বা কৃষক বলা যায়। যাঁদের পাতা তৈরির কারখানা, তাঁরা এদের থেকে কেনেন। এতেই ওদের চলে যায়। কিন্তু, ২০১৫ সালে টি বোর্ড একটা নির্দেশ দেয় যে এদের এখানে কিছু পোকা মাকড়ের জন্য তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
তাঁর সংযোজন, ‘কিন্তু, পরে খবর নিয়ে জানলাম যে এদের কোনও সময় দেওয়া হয়নি। কী পোকা তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। আসল ঘটনাটা জানতেও দেওয়া হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন এই ১০ লাখ চা শ্রমিকরা। তাঁরা বেকার হয়ে গিয়েছেন। আমি ওঁদের অনুরোধ করেছি যাতে কাজ ওঁরা বন্ধ না করেন। নির্বাচনের পর সায়েন্টিস্টদের সঙ্গে কথা বলব।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আগে বাংলার লোককে টি বোর্ডে রাখা হত, পোর্টে রাখা হত, হলদিয়া বন্দর, ডিভিসিতে রাখা হত। এখন আর আমাদের কাওকে রাখা হয় না। ওদের বিষয়টা ওদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমাদের হাতে যতটা করার আমরা করব। ওদের যাতে ব্যবসা বন্ধ না হয় সেই বন্দোবস্ত করব।’
এদিন চালসায় মঙ্গলবাড়ি বাজারে রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি দোকানে ঢুকে চা বানাতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন করা হয়, কিছু এলাকায় এখনও ত্রাণ পৌঁছছে না। এরই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে প্রভাবিত হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছবে।
এরই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকার মেশিন নয়। সবার কাছে পৌঁছনোর কথা বলা হয়েছে। কিছু দূরে দূরে রয়েছে। কেউ কেউ হয়তো আত্মীয়দের বাড়ি রয়েছেন। বিপর্যয়ে যাঁরা প্রভাবিত তাঁরা সকলেই ত্রাণ পাবেন।’ পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশনের থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, যেহেতু বর্তমানে আদর্শ আচরণবিধি লাগু রয়েছে তাই অনুমতি বাধ্যতামূলক।