কাজ থেকে ফিরে ছেলেকে সাঁতার শেখাতে পুকুরে নেমেছিলেন, মর্মান্তিক পরিণতি পিতা-পুত্রের |Man with son drowned in pond during swiming in Hooghly Krishnapur area


বিধান সরকার: গোবিন্দ নাগকে এলাকার মানুষজন চিনত ভালো সাঁতারু হিসেবে। আর সাঁতার কাটকে গিয়ে যে এতবড় কাণ্ড ঘটে যাবে তা ভাবতেই পারছেন না পাড়ার লোকজন। রাত এগারোটা নাগাদ  পুকুর থেকে গোবিন্দ ও তার ৭ বছরের ছেলের দেহ উদ্ধার হলে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি পাড়ার লোকজন। হুগলি স্টেশন কাছে কৃষ্ণপুরের ঘটনা।

আরও পড়ুন-আসানসোলে খনিতে ফের দুর্ঘটনা! মৃ্ত্যু ২ শ্রমিকের

স্থানীয় সূত্রে খবর এলাকায় একজন ভালো রাঁধুনী হিসেবে নামডাক ছিল গোবিন্দ নাগের(৩০)। থাকতেন কৃষ্ণপুর এলাকার রবীন্দ্রনগরে সরম হালদার নামে একজনের বাড়িতে। এক সন্তানকে নিয়ে সংসার। পুলিস সূত্রে খবর গতকাল বিকেল নাগাদ কাজ থেকে ফেরেন গোবিন্দ। এরপর ৭ বছরের ছেলে গৌরবকে নিয়ে পাশের একটি পুকুরে সাঁতার শেখাতে যান। সন্ধে হয়ে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি গোবিন্দ। ফলে শুরু হয়ে যায় খোঁজাখুঁজি।

এদিকে খোঁজাখুঁজির মধ্যেই পুকুরপাড়ে গোবিন্দ ও তার ছেলের জুতো দেখতে পান স্থানীয় মানুষজন। তখনই সন্দেহ হয় হয়তো পুকুরে ডুবে গিয়েছেন গোবিন্দ। অনেকে এনিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করলেও শুরু হয় তল্লাশি। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিকা দফতরে। রাত এগারোটা নাগাদ বাবা ও ছেলের মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দুটি দেহ পাঠানো হয় চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখানেই তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃনমূল সদস্য পরিতোষ মজুমদার বলেন,বাবা ছেলেকে নিয়ে পুকুরে নেমেছিল তখন ঘাটে কয়েক জন দেখেছে। তবে সন্ধা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পুকুর পারে জুতো দেখে সন্দেহ হয়। এরপর পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হয়। দুজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *