Dilip Ghosh,’১৫ লাখের অপেক্ষা করে অনেকেই উপরে চলে গেল’, দিলীপের ‘সেম সাইডে’ হইচই – dilip ghosh says many people died waiting for 15 lakh creates controversy


দিলীপ ঘোষ বরাবর বঙ্গ রাজনীতিতে ‘স্পষ্ট বক্তা’ হিসেবেই পরিচিত। বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে একাধিকবার এলেন নরেন্দ্র মোদী। আর প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত একটা শব্দে বেশ জোর দিয়েছেন তিনি- ‘গ্যারান্টি’। মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা, সে সময় বিরোধীরা অতীতের প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিচ্ছেন।অতীতে ‘কালো ধন’ ফিরিয়ে এনে দেশবাসীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠে। এবার অতীতের ‘১৫ লাখ টাকা’ প্রসঙ্গ টেনে মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। এবার এই নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য শোনা গেল বর্ধমান-দূর্গাপুর কেন্দ্রের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। তিনি বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কুড়মুনে উপস্থিত থেকে একটি প্রশ্নের জবাবে হাসি মুখে বলেন, ‘১৫ লাখ টাকার অপেক্ষা করে অনেকে তো উপরে চলে গেল! আমরা এখন ১৫ কোটির কথা বলছি।’ তবে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা তিনি করেননি।

দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বঙ্গ রাজনীতিতে অতীতেও আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কিন্তু, তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে শাসক দলের অন্দরেই। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘কালো টাকা ফেরত আনতে হবে! না হবে না! এই টাকায় মানুষের অধিকার। এই চোর লুটেরাদের পয়সা যা বিদেশি ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে তা যদি একবার ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে সেখান থেকেই হিন্দুস্থানের গরিব মানুষরা এমনই ১৫-২০ লাখ টাকা পেয়ে যাবেন।’

মোদীর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা প্রশ্নে দিলীপ ঘোষের জবাবে রীতিমতো আলোড়ন পড়েছে। এদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘কেউ নরেন্দ্র মোদীর থেকে টাকা চায়তে যাননি। তিনি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, কালো টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবেন। এরপর প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা ঢুকে যাবে। দিলীপবাবু প্রতিদিন মানুষকে অপমান করছেন। তাঁদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিচ্ছেন। এই ধরনের কথা বলে তিনি মানুষকে উত্তেজিত করছেন। এই কথার তীব্র ধিক্কার জানাই।’

মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তা কমিশনের, ফের ঝড় নিয়ে ‘অসংবেদনশীল’ দিলীপ!

এদিকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুল সিনহাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বর্ধমান দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দিলীপ ঘোষ বা অন্য কোনও BJP নেতার তরফে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে তা প্রতিবেদনে আপডেট করে দেওয়া হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *