কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
শুক্রবার জলপাইগুড়ির সভায় বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘এখানে প্রধানমন্ত্রী গতকাল এলেন, তিনি অনেক বিরোধিতা করেছেন, কিন্তু জলপাইগুড়ির কথা তো একবারও বলেননি। আলিপুরদুয়ারের মানুষগুলো এতো বিপদে আছে, একবারও বলেননি। কোথায় গেল তখন মোদী কি গ্যারান্টি? তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন কথাগুলো বলতে, জায়গা ছিল না বলার।’ মমতা আরও প্রশ্ন তোলেন, যেখানে দুর্যোগের পর কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের তিন প্রার্থী ভোটের প্রচার স্থগিত রেখে আক্রান্তদের পাশে ছুটে যান, তাঁদের পাশে দাঁড়ান, সেখানে কেন বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কথা ভাবে? মমতার প্রশ্ন, ‘মানুষের দুর্যোগের ও দুর্ভোগের সময় কোথায় তারা?’ ঝড়ে যাঁদের বাডি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের বাড়ির তৈরি অনুমতি দেওয়ারও দাবি জানান মমতা।
ঝড়ের রাতেই জলপাইগুড়িতে মমতা
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ভয়াবহ ঝড়ে কার্যত লন্ডভন্ড বয়ে যায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ে উড়ে যায় বহু বাড়ির চাল। ভেঙে পড়ে প্রচুর গাছ। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হয়। মৃত্যু হয় মানুষেরও। আহতও হয় অনেকে। খবর পেয়ে সেই রাতেই তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। একইসঙ্গে আহতদের সঙ্গেও সাক্ষৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন। একইসঙ্গে ত্রাণ শিবিরে গিয়েও সকলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরেরদিন আলিপুরদুয়ারেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও গিয়ে ঝড় বিধ্বস্তদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা।
এদিকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নির্মলচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। কয়েকমাস আগে ধূপগুড়ি উনির্বাচনে জিতে বিধানসভায় পা রেখেছেন নির্মলচন্দ্র রায়। এবার তাঁকে আরও বড় মঞ্চে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করেছে তৃণমূল। এদিন সভামঞ্চ থেকে জলপাইগুড়ি দলীয় প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘নির্মলচন্দ্র রায় জিতে ৩ মাসের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা করে দিয়েছেন। জিতলে ৬ মাসের মধ্যে বাদবাকি কাজগুলোও করে দেব।’
