বৃহস্পতিবার কোচবিহারে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। যদিও, এই সভা থেকে জলপাইগুড়ি ঝড়ের কারণে যে বিপর্যয় হয়েছে, সেই বিষয়টি নিয়ে একটিও কথা বলতে শোনা যায়নি নরেন্দ্র মোদীকে। এ ব্যাপারে মোদীকে খোঁচাও দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে, আগামী ৭ তারিখ জলপাইগুড়ি সভা থেকেই বিপর্যয়ের ব্যাপারে বিশেষ বার্তা দিতে পারেন মোদী। আগামী ৭ এপ্রিল তিনি বিকেল 4.30 নাগাদ জলপাইগুড়ি যাবেন বলে খবর। সেখানে বিপর্যয়ের কারণে আহতদের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন মোদি । পরে তিনি এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন ।
জলপাইগুড়ি জেলায় বিপর্যয়ের পরেই টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বিজেপি কার্য কর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দেন তিনি। তবে, বিপর্যয়ের পর আগামী রবিবার প্রথম জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন তিনি। জলপাইগুড়ি আসনটি গতবার বিজেপি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূলের কাছ থেকে। গতবার এই কেন্দ্র থেকে জিতে এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। এবারেও তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
অন্যদিকে, বিপর্যয়ের পরেই জলপাইগুড়ি ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি, জেলায় টানা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ বণ্টন থেকে শুরু করে বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে তদারকি করেন তিনি। এমনকি, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জলপাইগুড়ির মাল আদর্শ বিদ্যাভবন মাঠের প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়র সমর্থনে প্রচার সারেন তিনি।