Post Office : পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বিক্ষোভ খানাকুল ডাকঘরে – post master allegations of cheating lakhs of rupees deposited in khanakul post office


এই সময়, খানাকুল: পোস্টঅফিসে রাখা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধেই। খানাকুলের মাড়োখানা এলাকার ডাকঘরের পোস্টমাস্টার দীপক বাগ গ্রাহকদের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পোস্টমাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। পোস্টঅফিসে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।গ্রাহকদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় তাঁরা টাকা জমা করেছেন পোস্টঅফিসে। অভিযোগ, তা বেআইনি ভাবে তুলে নিয়েছেন পোস্টমাস্টার। অবিলম্বে গ্রাহকদের গচ্ছিত টাকা ফেরত দিতে হবে। তা না হলে পোস্টঅফিসের কাজ বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার গ্রাহকরা।

গ্রাহকরা জানিয়েছেন, টাকা তুলতে গেলে দেখেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। অথচ তাঁরা টাকা তোলেননি। তখনই বোঝেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরই এ দিন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকরা। গ্রাহকরা এদিন সদলবলে পোস্টমাস্টারের ঘরে ঢুকে পড়েন। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পোস্টমাস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। খানাকুল থানার পুলিশ এসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়।

পুলিশের আশ্বাসে উত্তেজিত জনতা শান্ত হয়। মধুমিতা সাঁতরা নামে এক গ্রাহকে কথায়, ‘অবিলম্বে আমাদের টাকা ফেরত না দিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’ আর এক গ্রাহক সুজিত পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কষ্ট করে এখানে টাকা জমা রেখেছি। তুলতে এসে দেখি আমার টাকা তোলা হয়ে গিয়েছে। আমরা এই নিয়ে আরামবাগ মুখ্য পোস্ট অফিসে গিয়ে অভিযোগ করে এসেছি। ওঁরা তদন্ত শুরু করছেন।’

স্বনির্ভর যোজনার ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, বেপাত্তা মহিলা

গ্রাহকদের বক্তব্য, এই পোস্টঅফিসে অনেক গরিব মানুষ কষ্ট করে টাকা রেখেছিলেন। প্রয়োজনে তা তুলতে এসে সেই টাকা পাননি। তাঁদের প্রশ্ন, টাকা এ ভাবে গায়েব হয় কী করে? এ জন্য তাঁরা পোস্টমাস্টারকেই দায়ী করেছেন। অভিযুক্ত পোস্টমাস্টার দীপক বাগ বলেন, ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঠিক কী হয়েছে, তা দেখা হবে। হায়ার অথরিটি এসেছেন। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *