হাটে বাজারের মাছ বিক্রি করতেন তিনি। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। সংসারে প্রচণ্ড অর্থাভাব। অভাবই ছিল অশোকের পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। অভাব দূর করতে মাঝে মাঝে টুকটাক লটারি কাটতেন। কিন্তু কখনোই লটারির পুরস্কার পাননি। ইদানিং কালে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছিলেন। শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি চাঁচল সদরের একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কাটেন। আর তাতেই কেল্লাফতে।
শুক্রবার ডিয়ার মর্নিং লটারিতে এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার জিতে নেন অশোক মহালদার। ফলাফল দেখার পর নিজেই যেন তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। শুক্রবার রাতেই নিজেদের সুরক্ষার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন অশোক মহালদার।অশোক বাবু জানাচ্ছেন, তিনি যেমন জীবন যাপন করতেন তেমন ভাবেই করবেন। আগের মতই মাছ বিক্রি করবেন। আর এই টাকায় নিজেদের শখের একটা বাড়ি বানাবেন। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করাবেন।
অশোক মহালদার বলেন, ‘মাঝে মাঝে টিকিট কাটতাম। এদের ৩০ টাকার লটারি কেটে ছিলাম। ফলাফল মিলিয়ে দেখি আমি এক কোটি টাকা জিতেছি। খুব ভালো লাগছে।এবার ছেলে মেয়েদের ভালো ভাবে পড়াশোনা করাতে পারবো।’ দাদা নয়ন মহলদার বলেন, ‘আমি তো মাঠে কাজ করছিলাম। আমার ছেলে এসে বলছে আমাকে ডাকছে বাড়িতে। ভাবলাম ভাইয়ের মনে হয় বেশি শরীর খারাপ হয়েছে। কিন্তু গিয়ে দেখি এই খুশির খবর। আমরা সকলে খুব আনন্দিত।’ লটারির জিতে যাওয়ার কারণে খুশি তাঁর পরিবারের সকল সদস্যরাও। নিত্য অভাবের সংসারে লক্ষ্মী লাভ হওয়ায় আনন্দে হাসি ফুটেছে সকলের মুখে।