ভোট পরবর্তীকালে বিজেপি এই তিনটি পরিকল্পনা করেছে, লোকসভা আসন দখল করার জন্য, দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু জানতে পারবো, কোথায় কী হচ্ছে।’ বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে এবারের নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক আসন দখল করতে চাইছে বলেও দাবি করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার কিছু আগেই আজ, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে হানা দেয় এনআইএ একটি টিম। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতা জানান, ওখানে মহিলারা কারও উপর আক্রমণ করেনি। এনআইএ হামলা চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তৃণমূলের বুথ কর্ম, নির্বাচনী এজেন্টদের ভোটের আগে তুলে নেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি মমতার।
সেই কারণে, তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনটি স্তরে কর্মীদের প্রস্তুত করে রাখতে। প্রথম স্তরের কর্মীদের গ্রেফতার বা আটক করা হলে যাতে ক্রমানুসারে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরে তৃণমূলের বুথ কর্মী বা নির্বাচনী এজেন্টরা কাজ করতে পারেন, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে গতবার জিতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবারেও সেখানে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। গতবার এখন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ। তাঁকে ৩৩ হাজারের কাছাকাছি ব্যবধানে হারিয়ে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে এবার এই আসনটি নিজেদের দখলে আনতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনের সভা থেকে নাম না করে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘এখানে ওই কুসান্ত বাবু আছেন, আর ওদিকে আছে গদ্দার। এরা মনে করে যা বলবে তা-ই করতে হবে।’ এবার এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।