ভূপতিনগরকাণ্ডে পালটা NIA-র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, আজ ঘটনাস্থলে TMC-র প্রতিনিধি দল – tmc delegation will go bhupatinagar today after nia attacked by some of villagers


ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার ২। আর গ্রেফতারের পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা। নতুন করে উত্তেজনা এড়াতে টহলদারি পুলিশের। আজই এলাকায় আসছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূলের রাজ্য ও জেলার এক প্রতিনিধি দল। এদিকে ভূপতিনগরের ঘটনায় পালটা NIA-এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।শনিবার ভোরে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে যায় এনআইএ। আর সেখানে অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় এনআইএ-র আধিকারিকদের। এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হয় বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা নামে দুই ব্যক্তি। ওই দুই জনকে গ্রেফতারের সময়ই এনআইএ-কে স্থানীয়দের একাংশের বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। শনিবারের সেই ঘটনার পর রবিবারও সকাল থেকে থমথমে রয়েছে গোটা এলাকা। নতুন করে যাতে কোনওরকম অশান্তির সৃষ্টি না হয় তার জন্য এলাকায় পুলিশি টহল রয়েছে।

আজ ভূপতিনগরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

এদিকে রবিবার ভূপতিনগরে আসছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষ সহ তৃণমূলের রাজ্য ও জেলার নেতৃত্বের এক প্রতিনিধি দল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বলেছেন, ‘ভোট এলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর কাজ করে থাকে বিজেপি সরকার।’ এলাকার মানুষ যাতে ভয় না পায়, সেই বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘একটি পুরানো ঘটনার মামলায় এনআইএ-র প্রতিনিধিদল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আসলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় যাতে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

ঠিক কী হয়েছিল?

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে রাজকুমার ছাড়াও মৃত্যু হয় তাঁর দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামে আরও ২ জনের। অভিযোগ ওঠে, বোমা বাঁধার কাজ চলছিল তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে, আর সেই সময়ই ঘটেছে এই বিস্ফোরণ। ঘটনায় বাড়িটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে দেহগুলি। সেই ঘটনারই তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। আর তারই তদন্তে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হল এনআইএ-কে। প্রসঙ্গত, এর আগে সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ে আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *