বাঁশবাড়িয়ার উপ পুর প্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিল। তাঁদেরকে সরাতে গেলে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। তাঁর হাতে আঘাত লাগে। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ বাঁশবেড়িয়াতে কালী পূজায় অংশ নিতে যাবার সময় বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূলের নেত্রী এবং ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমার গাড়ির উপর আক্রমণ করে।
তিনি অভিযোগ করেন, আমি বারংবার বলেছি গোটা হুগলি জুড়ে তৃণমূল ‘মাফিয়ারাজ’ কায়েম করেছে। তাই আজ আমাকে মায়ের পুজোতে যেতে বাধা দিল তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীরা। তাঁর কথায়, যেখানে প্রার্থীর সুরক্ষা নেই সেখানে সাধারণ ভোটারদের অবস্থা সম্পর্কে সকলেই বুঝতে পারছেন। হুগলিতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে তার জন্য সমস্ত মাফিয়াদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তাঁর
অন্যদিকে, হুগলির বাঁশবেড়িয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘তিনি পাঁচ বছর সংসদ থাকাকালীন কোভিড ও লকডাউনের সময় মানুষের পাশে ছিলেন না। তাই সাধারণ মানুষ কালো পতাকা দেখাতে পারেন তাঁকে।’ তবে তিনি যে অভিযোগ করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা ছিলেন, ওখানে পুজো ছিল, তাই ওখানে অনেকে থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তৃণমূল সভাপতি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দরকার পড়ে না কাউকে কালো পতাকা দেখানোর। সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। তৃণমূল প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই সাধারণ মানুষের ঢল তাই সেটা দেখে তিনি ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। তাই তিনি ভাবছেন তৃণমূল কংগ্রেস এই কাণ্ড করাচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোন এই ঘটনার যোগাযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না।