প্রচার শুরুর আগে ব্যারাকপুর-বারাসাত রোডের ধারে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ঘিদাহ ক্লাবের ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। সিপিএম প্রার্থী তাঁকে দেখে হাত নাড়েন। পার্থ ভৌমিকও গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। গাড়ি থেকে নেমে দেবদূতকে জড়িয়ে ধরেন পার্থ।
ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে তত একটু একটু করে উত্তপ্ত হচ্ছে ব্যারাকপুর। সেখানে এই ধরনের সৌজন্য যথেষ্ট বার্তাবাহক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পার্থ বলেন, ‘আমি ইফতার পার্টিতে যাচ্ছিলাম। দেবদূতকে দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসি। দুজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম। আমাকে ও বলল, আবার প্রলয়টা ফাটিয়ে দিয়েছ। আমি পাল্টা বললাম, অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে করা ওর নাটকের অভিনয় অনবদ্য।’
দেবদূত ঘোষ বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। রাজনীতির পথ আলাদা হলেও এই সৌজন্য থাকা দরকার।’ অন্য দিকে, বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিং কাঁচরাপাড়া থেকে ব্যারাকপুর চষে বেড়ালেন রবিবার। দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এ দিন বিকেলে কাঁচরাপাড়া ব্রতচারী পার্ক থেকে থানা মোড়, গান্ধী মোড় হয়ে মিলন নগরে শেষ হয় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা।
অর্জুন হুঙ্কার দিলেন, ‘সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা এই ব্যারাকপুর থেকেই হয়েছিল। আমরা সিপিএমকে সরিয়েছি। এ বার পালা তৃণমূলের।’ পার্থ ভৌমিকের কটাক্ষ, ‘হুঙ্কার আর হুঁশিয়ারি দেওয়া ছাড়া ওর আর কোনও কাজ নেই। সে জন্যই ব্যারাকপুরের মানুষকে বলছি গুন্ডারাজ নয় শান্তির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন।’