শশীর কটাক্ষ, ‘সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতর প্রতিদিন সারাদেশে বিজেপি নেতাদের ছাড়া বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীকে। স্বাধীনতার পর প্রথমবার আমরা দেখলাম নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল। বিরোধী নেতাদের মানহানি করে গ্রেফতার করা বিজেপির ষড়যন্ত্র।’
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একটি রেজিস্ট্রার সামনে রেখে সেখানে লেখা ঠিকানা পড়ে শোনান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেই ঠিকানা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির মেয়ের বাড়ির ঠিকানা বলেও দাবি করেন কুণাল। যদিও কুণালের তোলা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পালটা জিতেন্দ্র চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি আমার নাম কোথাও লিখেছি তা পারলে প্রমাণ করে দেখাক, তৃণমূল কোনওদিন বলবে বিজেপির লোকেরা ভালো? রোজ একটা করে অভিযোগ আনলে তো তা সত্যি না কি মিথ্যা, প্রমাণ করা সম্ভব নয়!’
প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র অভিযানকে ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। ভূপতিনগরে তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের বাধার মুখে পড়তে হয় এনআইএ কর্তাদের। এমনকী এনআইএ-র ওপর হামলাও চালান হয়। গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। এনআইএ স্থানীয় থানাকে না জানিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করতে থাকে তৃণমূল। একইসঙ্গে বিজেপির কথাতেই এনআইএ অভিযান চালাচ্ছে বলেও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়। আর সেই দাবির সূত্র ধরেই উঠে আসে জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম।
