কী কী পাওয়া যাচ্ছে?
কী নেই সেখানে! ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে হ্যান্ডলুম শাড়ি, কাঁথা স্টিচ, নকশা করা শাড়ি, শার্ট, নানা ধরনের অলংকার, মহিলাদের ব্যবহারের ব্যাগ, চাদর, এমনকী খাওয়ার নানা উপকরণও পেয়ে যাবেন সেখানে। একদম সোনাঝুড়ি মতোই আমেজ উপভোগ করতে পারবেন এখানে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্পী বিক্রেতারা এসেছেন নিজেদের জিনিসের সম্ভার নিয়ে। চুড়িদার থেকে ঘর সাজানোর জিনিস, পাপড় থেকে শুরু করে একতারা সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে চুঁচুড়ার এই সোনাঝুড়ির হাটে।
আর কী কী মিলছে?
আদিবাসী হস্তশিল্পের ঘর সাজানোর দ্রব্য থেকে লোকসঙ্গীতের যন্ত্র, সবই রয়েছে এই হাটে। ঠিক যেমনটা হয় সোনাঝুড়ির হাট, তেমনই অবিকল সেজে উঠেছে চুচুড়ার এই রূপনগর ময়দান। মেলায় ঘুরতে আসা মহিলারা আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মেলাচ্ছেন। বেতের কুলো, পট চিত্র, নানান ধরনের ছবি জামা কাপড় সবই রয়েছে এই সোনাঝুড়ির মেলায়। এই মেলায় আহত মানুষজন এসে মনে করছেন তাঁরা যেন ঠিক সোনাঝুড়ির হাটেই চলে এসেছেন।
চুঁচুড়ায় গঙ্গার ধারের প্রাকৃতিক পরিবেশেরও সামঞ্জস্য রয়েছে এই হাটের সঙ্গে। আর সেই কারণেই এখানে এসে কার্যত মানুষ ভুলে যাচ্ছেন তাঁরা হুগলির চুঁচুড়ায় রয়েছেন না কি বোলপুরের সোনাঝুড়ির হাটে। এই বছর হাটের স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রথমদিন থেকেই বহু সংখ্যক মানুষের আসছেন এই মেলায়, যা দেখে আশাবাদী বিক্রেতারাও। তাঁদের আশা ভালোই লাভ হবে এবারের হাটে।