এক্ষেত্রে পুলিশ ও জুডিশিয়াল অফিসার অর্থাৎ বিচারক ও বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও আরও সংবেদনশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চের নির্দেশ, ‘এই সংক্রান্ত নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও জুডিশিয়াল অফিসারদের আরও সংবেদনশীল করে তোলার কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন।’ এই মামলায় অভিযুক্তের জামিনের আর্জিও খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।
বস্তুত নিপুণ সাক্সেনা বনাম কেন্দ্রীয় সরকারের একটি মামলায় নিগৃহীতার পরিচয় আড়াল রাখার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তারপরেও পুলিশের পাশাপাশি নিম্ন আদালতের বিচারকদের একাংশের মধ্যেও এ ব্যাপারে সচেতনতার অভাব নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীর আবেদনের মধ্যে নির্যাতিতা নাবালিকার নাম দেখার পরেও সেই আবেদন সংশোধন না করিয়ে, বিচারক রায়ের মধ্যেও সেই নাম উল্লেখ করেছেন—এমন উদাহরণও রয়েছে।
তাই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী, বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মতো কলকাতা হাইকোর্টের যে বিচারপতিদের এজলাসে এই ধরনের মামলা শুনানির জন্য ওঠে, তাঁরা শুনানির আগেই মামলার পিটিশনে খুঁটিয়ে দেখে নেন, কোনওভাবে পকসো মামলার নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ হতে পারে, এমন কোনও ইঙ্গিত আছে কি না।
হাইকোর্টের বিচারপতিরাও একাধিকবার সতর্ক করেছেন এনিয়ে। কিন্তু পকসো মামলায় নিগৃহীতার পরিচয় যাতে কোনও প্রকাশ্যে না-আসে, সে নিয়ে সব মহলে সচেতনতা এখনও আসেনি বলে মনে করছেন প্রবীণ আইনজ্ঞরা।