West Bengal School,কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক স্কুলকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! তদন্তে পুলিশ – west bengal many school gets bomb threat


কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক স্কুলে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ইমেল মারফত একাধিক স্কুলকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। মেলগুলির মধ্যে আদৌ কোনও সত্যতা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ক্রিনশট ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হ্যাপিহটডগ১০১ নামক একটি মেল আইডি থেকে রাজ্যের একাধিক স্কুলে হুমকি পাঠানো হয়েছে। এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কোন কোন স্কুলকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। কলকাতার একটি স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল এই চিঠির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বোমা মেরে স্কুলটি উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবে এর থেকে বেশি কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রীতিমতো আঁটসাঁট নিরাপত্তায় মোড়া রয়েছে গোটা রাজ্য। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে বাংলাকে। এর মধ্যে এই হুমকির ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলায় NRC হলে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হল। অভিযোগ, এই হুমকি পাঠানো হয়েছে লস্কর ই তৈবার পক্ষ থেকে। অন্ততপক্ষে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেই মোতাবেক এই তথ্য সামনে আসছে। সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ এই চিঠিটি ডাক মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে তাঁর কাছে, এমনটাই জানালেন শান্তনু। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।

অভিযোগ করা হচ্ছে, এই চিঠিটি বাংলাতে দেখা হয়েছে। সেখানে NRC প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলা হয় যদি বাংলায় তা হয় সেক্ষেত্রে ঠাকুরবাড়়িকে উড়িয়ে দেওয়া হবে। নিজেদের লস্কর ই তৈবা বলে দাবি করেছে ছিঠি প্রেরক।

‘ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে’, NRC নিয়ে শান্তনুকে লস্কর নামাঙ্কিত হুমকি চিঠি

এদিকে সরব মমতাবালা ঠাকুরও। তিনি অভিযোগ করেন, ‘নিজের লোককে দিয়েই এই চিঠি পাঠিয়েছেন শান্তনু, মনে হচ্ছে এমনটাই। প্রায় এক মাস হতে চলল CAA লাগু হয়েছে। এতদিন কিছু হয়নি।’ ভোটের মুখে এই চিঠি আদতে ‘সিমপ্যাথি স্ট্র্যটেজি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজ্যের এই দুটি ঘটনা ভোটবাজারে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *