এমনকী, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে যান। শনিবারের ওই ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হতেই জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। এদিকে, এদিনই ভূপতিনগরের আরও তিন নেতাকে এই তদন্তের বিষয়ে তলব করা হলেও তাঁরা নিউ টাউনে এনআইএ অফিসে রাত পর্যন্ত হাজিরা দেননি বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এনআইএ-র হাতে বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তিনজনকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। ২০২২ সালে ২ ডিসেম্বর তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। তাতে রাজকুমার সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য সেখানে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছর এনআইএ এই মামলার তদন্তভার নেয়। সেই মামলায় বলাইচরণ ও মনোব্রতকে গ্রেপ্তার করলে গেলে শনিবার মধ্যরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারীদের। ইটবৃষ্টি শুরু হলে আহত হন এক অফিসার। এই ঘটনার পরে ভূপতিনগর থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এনআইএ-র বিরুদ্ধে থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানান ধৃত মনোব্রতর স্ত্রী মণি জানা।
অন্যদিকে, হামলার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাও পাল্টা একটি এফআইআর দায়ের করে। এরপর সিআই শ্যামল চক্রবর্তী এবং ওসি গোপাল পাঠকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়ে গত শনিবার ভোর থেকে সারাদিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল সে বিষয়ে খোঁজ নেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্রের খবর, শনিবারের হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই আক্রান্ত এনআইএ অফিসারের মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘এনআইএ-র অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সে দিন কী ঘটেছিল, তা জানতে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব কুমার পইড়া, সুবীর মাইতি এবং নবকুমার পণ্ডাকে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার নোটিস পাঠানো নিয়ে পরিবারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তাঁরা কোথায়, সে বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছেন বাড়ির লোকেরা।