এর আগে লোকসভা নির্বাচনগুলিতে বিজেপিকে সমর্থন করা হয়েছিল বলে দাবি সংগঠনের নেতৃত্বদের। কিন্তু বিজেপি ভোটে জিতেও তাঁদের কোনও দাবি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এমনকি কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক রাজবংশীদের জন্য কিছু করেনি বলে জানান নেতৃত্বরা।
আর সে কারণে এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকেই সমর্থন করা হবে বলে ঠিক করেছে এই সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত বর্মণ জানান, আমাদের আলাদা রাজ্যের দাবি বহুদিনের। তা পূরণ হয়নি। আমাদের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপি কিছু করেনি। অনন্ত মহারাজের সঙ্গে চালাকি করা হয়েছে। তাঁকে ‘প্যারালাইজড’ করে রাখা হয়েছে। আমাদের দাবিগুলিকে চক্রান্ত করে চাপা দিয়ে রেখেছে বিজেপি।
তৃণমূলে নেতৃত্বদের থেকে আশ্বাস মিলেছে বলে জানান তাঁরা। যদিও সংগঠনের মুখপাত্র নিপক বর্মণ জানান তৃণমূলের সঙ্গে কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের উন্নয়নের জন্য যাবতীয় কাজ করছেন। কিন্তু আমাদের আরও অনেক দাবি রয়েছে। সেগুলি পূরণের আশ্বাস না পেলে আমরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে রাজবংশী ভাই-বোনদের বলবো বিজেপি, তৃণমূল কাউকে ভোট না দিয়ে নোটায় ভোট দিতে। সাধারণ সম্পাদক পবিত্র বর্মণ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে আমাদের ৩০-৪০ শতাংশ ভোটার রয়েছে। ভোটের আগে বিজেপি যোগাযোগ করতে চাইছে। কিন্তু আমরা বিজেপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নয়। তৃণমূলের উপর ভরসা রাখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে দলীয় অনুশাসনের উলটো স্রোতে গিয়ে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন কর্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। সেরকমই, কোচবিহারে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজকেও বেসুরো হতে দেখা গিয়েছে। বিজেপিকে সমর্থন না করার কথা জানিয়ে দিল কামতা রাজবংশী পরিষদও। ইন্ডিয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছে হামরো পার্টিও।একের পর এক সংগঠন পাশ থেকে সরে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরে।