একেকটি মেশিনে ২০০টি করে ব্যাগ রাখা থাকবে। ১০ টাকা ফেললে একটি ব্যাগ বেরিয়ে আসবে। প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সল্টলেকে প্রচার চলছিল বহুদিন ধরেই। প্লাস্টিকের ব্যবহারও কমছিল। কিন্তু করোনাকাল ও পরবর্তী সময়ে ফের সিঙ্গল ইউজ়ড প্লাস্টিকের ব্যবহার চরমে। দফায় দফায় অভিযান চালিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বিধাননগর পুরনিগম।
তবে গত ১০ মার্চ পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পর থেকে অন্তত সিএ মার্কেটে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার অনেকটাই কমেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। মাছ-মাংসের দোকানগুলি কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও কাঁচা বাজার-সহ বেশিরভাগ দোকানেই এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকটাই কম।
ওই মার্কেটেই বাজার করতে এসেছিলেন এএ ব্লকের বাসিন্দা সুকন্যা দত্ত। তাঁর কথায়, ‘এই ভেন্ডিং মেশিন হওয়ায় খুবই সুবিধা হয়েছে। তবে মাছ-মাংসের জন্য মোটা প্লাস্টিকের ব্যাগই ভরসা,সেগুলো তো কাপড়ের ব্যাগে নেওয়া যাবে না।’ বাজার কমিটির সম্পাদক, অরুণ রায় বলছেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। বাজারের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার না করতে অনুরোধও করা হচ্ছে।’
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমারের কথায়, ‘এই মেশিন বসানোর পর দারুণ সাড়া পেয়েছি আমরা। শুরুর দিকে এক দিনে ১০০-১৫০ ব্যাগ মানুষ নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। মোট ১০০টি ব্যাগ ভেন্ডিং মেশিন কলকাতা, বিধাননগর এবং হাওড়ার বিভিন্ন বড় বাজারে বসানো হবে।’
বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পরিষদ (বাজার) তথা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজেশ চিরিমারের বক্তব্য, ‘পুরনিগম এলাকায় আরও ১৮ জায়গায় এই ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। এখন ৬টি জায়গায় কাজ হচ্ছে। তবে ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য এখন এগুলির উদ্বোধন হবে না। ভোটপর্ব মিটলেই এগুলি চালু করা হবে।’