বর্তমান পত্রিকার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যায় নিজের কামরার মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারারক্ষীরা আচমকা তাঁর ঘর থেকে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ পান। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের কাছে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, সেলের এক কোণায় বসে কাঁদছেন তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোনও কিছু হয়েছে কিনা? কিছুক্ষণ পর তিনি উত্তর দেন, ‘জেলের ভেতর থাকতে আমার আর একদণ্ড ভালো লাগছে না। এখানে আমি হাঁপিয়ে উঠছি।’
সংশোধনাগার থেকে সাধারণত রাতে রুটি, ডাল আর সবজি দেওয়া হয়। খাওয়ার রুচি ছিল না তাঁর। একটি রুটি আর ডাল খেয়ে শুয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে কাঁদতে দেখে কারারক্ষীরা বলেন, ‘আপনি শান্ত হোন।’ কান্না থামিয়ে পার্থ বলেন, ‘আর কতদিন এই জেলের ভেতর কাটাতে হবে কে জানেন!’ চূড়ান্ত হতাশা ফুটে ওঠে তাঁর গলায়।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রে খবর, এর আগে সারা দিনে নিজেকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখতেন তিনি। বই পড়া, জেলের ভেতর নানা অনুষ্ঠানে যোগদান করতেন। এখন সব কিছু থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। সংবাদপত্র নিয়মিত পড়েন। টিভি দেখা, বই পড়া, সংবাদপত্রে চোখ বোলানো তাঁর দৈনন্দিন রুটিনের মধ্যে পড়ে। তবে, আগের মতো তাঁকে আর কথা বলতে দেখা যায় না তাঁকে। আশেপাশের বন্দীদের সঙ্গেও তিনি কথাবার্তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। সেলের মধ্যেই হাঁটাচলা করে কিছুটা সময় কাটান। এককালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী আজ অনেকটাই চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন।