একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, সেই প্রতিনিধি মন্ত্রীর মোবাইল আনলক করতে তদন্তকারীদের সাহায্য করেছেন। এ বার তদন্তকারী অফিসাররা খতিয়ে দেখতে চাইছেন—চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে শিক্ষায় নিয়োগ দুনীতিতে জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক কি না। টাকার বিনিময়ে বীরভূমের কোনও অযোগ্য প্রার্থী তাঁর মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মোবাইল আনলক হতেই চন্দ্রনাথের মোবাইলের চ্যাট হিস্ট্রি এবং কল রেকর্ড খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। এর আগে অন্য কয়েকজন অভিযুক্তের মোবাইলের সূত্রে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য হাতে এসেছিল তদন্তকারীদের। এ বারও তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। ইডি সূত্রে খবর, চন্দ্রনাথ-সহ মন্ত্রীর সব সময়ের এক সঙ্গীর মোবাইল সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু সেই মোবাইলগুলি আনলক করা যায়নি। পরে ইডি দপ্তরে পাঠানো মন্ত্রীর প্রতিনিধির দেওয়া তথ্য মোবাইলটি আনলক করতে সাহায্য করে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, চন্দ্রনাথের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়ার টাকার সঙ্গে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে কি না। এই মামলায় বেশ কয়েকজন সাক্ষীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও জোড়াফুল নেতৃত্বের অভিযোগ, গোরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল আগে থেকেই তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে এ বার এজেন্সি টার্গেট করছে চন্দ্রনাথকে।
