পিনাকী বলেন, ‘গ্রামের কয়েক জনের কাছ থেকে পুকুরটি লিজে নিয়েছিলাম মাছ চাষ করার জন্য। বন্যা কবলিত বলে পুকুরের পাড় বাঁধানোর কথা ছিল। তারাপীঠে পুজো দিতে এসেছি। এই সুযোগে গ্রামের কয়েকজন ওই পুকুরের মাটি পাচার করছিল। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বলুন্ডি পশ্চিমপাড়ায় একটি পুকুর থেকে বেআইনি ভাবে পিনাকীর মদতে মাটি পাচার হচ্ছিল। রাতে মাটি পাচারের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকার মানুষ। ৬টি ট্রাক্টর ও একটি মেশিন আটকে আরামবাগ থানার পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর ফেলে চম্পট দেয় চালকরা। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষজন।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জিগরিয়া হোসেন বলেন, ‘আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা ট্রাক্টরের চালকদের মাটি বিক্রির জন্য বলেছেন। বাবার নাম ভাঙিয়ে এই সব করছে।’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর নিয়ে দেখতে হবে বলে জানান ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শম্ভুনাথ বেরা।
এ বিষয়ে পিনাকীর বাবা কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, ‘সবই বিরোধীদের চক্রান্ত। আমার ছেলে নিজের খরচায় পুকুরের পাড় বাঁধিয়েছে। এসে দেখে যাক না সবাই। আসলে ওদের উদ্দেশ্য ছিল ধমকে চমকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা। সেটা পারেনি বলে এ সব মিথ্যা প্রচার করে বেড়াচ্ছে।’
এই ঘটনায় নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ও সিপিএম। বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, ‘আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়কের পুরো পরিবার বালি, মাটি ও চাকরি দেওয়া থেকে শুরু করে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
আরামবাগ এরিয়া কমিটির সিপিএম নেতা শেখ জাহাঙ্গির বলেন, ‘তৃণমূল দল চুরিকে শিল্প করে তুলেছে। শুধু গাড়ি ধরলে হবে না। ওই তৃণমূল নেতার ছেলেকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।’ আরামবাগ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।