প্যান্টের পকেটে ভোটার কার্ড পাওয়া যায়। তা দেখেই দেহটি দেবজিতের বলে শনাক্ত করা হয়। এ দিন দুপুর দুটোর দিকে দেহটি গাজোল থেকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের সময়ে হাসপাতালে আসেন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশ।
গাজোল জিআরপির আধিকারিক প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘দেহটি যেভাবে পড়েছিল তাতে ট্রেনে কাটা পড়ার সম্ভাবনা বেশি। আর সেটা যদি হয়ে থাকে তাহলেও ঠিক কোন ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ সকালে দেহটি উদ্ধারের আগে ওই লাইন দিয়ে শিয়ালদা থেকে বালুরঘাটগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেন এবং বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী ডাউন তেভাগা এক্সপ্রেস গিয়েছে।’
তাতেও প্রশ্ন উঠছে, সোমবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ২৪ ঘণ্টা কোথায় ছিলেন? চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু, নাকি পরিকল্পিত খুন অথবা নিছক আত্মহত্যা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। জানা গিয়েছে, ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরবোর্ডের কাউন্সিলার ছিলেন দেবজিৎ।
পরবর্তীতে ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। বর্তমানে কেবল লাইনের ব্যবসা করতেন তিনি। মৃতের ভাই দেবরঞ্জন রুদ্র বলেন, ‘সুগার ধরা পড়ায় প্রতিদিন মর্নিং ওয়াকে বেরোতেন দাদা। সোমবার ভোর সাড়ে চারটার সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। মোবাইল বন্ধ ছিল। দাদার কোনও খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হই। আজ সকালে পুলিশ ফোন করে জানায়, দাদা গাজোলের কাছে ট্রেনে কাটা পড়েছেন।’ বালুরঘাট জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’