জলপাইগুড়িতে সাম্প্রতিক ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে বেশকিছু বাড়ি। আর সেই বাড়িগুলি তৈরি করতে অনুমোদন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়া হল না। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানিয়ে দেন অভিষেক।বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে যে ঝড়ে বিধ্বস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য অনুমতি দেবে না তারা।’ অভিষেক আরও জানান, রাজ্য টাকা রাজ্য সরকার দেবে বলেছে, তারপরেও অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘মোদীজির মডেল হল, না ঘর বনাউঙ্গা, না ঘর বনানে দুঙ্গা।’ বাড়ি তৈরির টাকা দিতে প্রশাসন যে প্রস্তুত সেই কথা অবশ্য এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ভয়াবহ ঝড়ে কার্যত তছনছ হয়ে যায়, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বেশকয়েকজনের সঙ্গে মৃত্যুও হয়। আহত হন আরও অনেকে। খবর পেয়ে রাতেই জলপাইগুড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সমবেদনা জানান তাঁদের। একইসঙ্গে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রাণ শিবিরেও যান তিনি। একইসঙ্গে ঝড়ে যে সমস্ত জায়গা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে, সেই সমস্ত স্থানগুলিও পরিদর্শন করে দেখেন মমতা। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু রয়েছে বলে তিনি নিজে কিছু বলতে পারছেন না। তবে প্রশাসন যে বাড়ি তৈরির টাকা দিতে প্রস্তুত, সেই কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ভয়াবহ ঝড়ে কার্যত তছনছ হয়ে যায়, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বেশকয়েকজনের সঙ্গে মৃত্যুও হয়। আহত হন আরও অনেকে। খবর পেয়ে রাতেই জলপাইগুড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সমবেদনা জানান তাঁদের। একইসঙ্গে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রাণ শিবিরেও যান তিনি। একইসঙ্গে ঝড়ে যে সমস্ত জায়গা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে, সেই সমস্ত স্থানগুলিও পরিদর্শন করে দেখেন মমতা। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু রয়েছে বলে তিনি নিজে কিছু বলতে পারছেন না। তবে প্রশাসন যে বাড়ি তৈরির টাকা দিতে প্রস্তুত, সেই কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে এর আগে মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঝড়ে আহত এক শিশুকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসলপাতালে দেখার পর তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস প্লাসের অনুমোদন দিলে শিশুগুলিকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হত না। প্রসঙ্গত, আবাসের বাড়ির টাকা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে বলে বারেবারেই অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার। পালটা তৃণমূল তথা রাজ্যের বিরুদ্ধে আবাসের বাড়ি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ির ঝড়কে কেন্দ্র করে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে আবাসের যোজনার বাড়ি নিয়ে।