এই সময়: চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুর স্কুলে বোমাতঙ্কের থ্রেট দিয়ে ইমেল পাঠিয়েছিল যাঁরা, কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৫০ স্কুলে হুমকি-বার্তার নেপথ্যেও রয়েছে তারাই। কলকাতা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্যই সামনে এসেছে। পুলিশের দাবি, চিনের কোনও সংগঠন এর পিছনে থাকতে পারে। সব স্কুলে হুমকি মেল পাঠাতে যে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়েছে, তা নেদারল্যান্ডসের।তবে সেটি প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল নাকি বাউন্স করানো হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ঘটনার সূত্রে বিদেশের যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে ফলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সাহায্য করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও লালবাজার সূত্রে খবর। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন,‘কী কারণে ওই ইমেল পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। নেপথ্যে কে বা কার রয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
রবিবার রাত ১২টা ২৪ মিনিটে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে একটি মেল পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়, ক্লাসরুমে বোমা রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুলিশের তরফে ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে জানানো হয়, শহরের কয়েকটি স্কুলে হুমকি মেলের খবর আমাদের কাছে এসেছে। আমরা নিশ্চিত, এই মেলটি একটি গুজব এবং এতে বিশ্বাসযোগ্য হুমকি নেই।
রবিবার রাত ১২টা ২৪ মিনিটে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে একটি মেল পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়, ক্লাসরুমে বোমা রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুলিশের তরফে ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে জানানো হয়, শহরের কয়েকটি স্কুলে হুমকি মেলের খবর আমাদের কাছে এসেছে। আমরা নিশ্চিত, এই মেলটি একটি গুজব এবং এতে বিশ্বাসযোগ্য হুমকি নেই।
অতীতেও বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের মতো শহরের স্কুলগুলিতে একই রকম মেল পাঠানো হয়েছে। এই মেল যে বা যারা পাঠিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে শহরবাসীকে বলা হচ্ছে শান্ত থাকতে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও নিশ্চিত থাকতে।’
ওই ইমেলের কথা সামনে আসার পরেও এদিন শহরের যে সব স্কুলে পরীক্ষা ছিল সেখানে উপস্থিতির হার ছিল ভালোই। তবে, অন্য স্কুলগুলিতে তুলনায় পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম।