তার জন্যে অন্য ডিপার্টমেন্টেরও কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা জানান, বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের দৈনিক মজুরি থেকে গত কয়েক দিনের এক ঘণ্টার মজুরি কাটা হয়েছে। এর পাশাপাশি দোলের দিনের মজুরি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটাও তাঁদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর ফলে ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা কম বেতন পেয়েছেন।
এই নিয়েই ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সোমবার থেকে তাঁরা পাওনা টাকার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ওই বিভাগের কর্মীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁরা তা মানতে চাননি। এরপরেই মিল কর্তৃপক্ষ একটি নতুন নির্দেশ জারি করেন।
মঙ্গলবার সকালে কর্মচারীরা কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন মিলের গেটে নোটিস ঝুলছে। ওই নোটিসে বলা হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন ততক্ষণ ব্যাচিং, ওয়েভিং-সহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখা হবে। এ দিকে, বিমিং ডিপার্টমেন্টে কর্মচারীদের পাওনা নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান অন্য বিভাগের কর্মচারীরা। ফলে মিলের অচল অবস্থা শুরু হয়।
শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, ওই মিলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পিএফের টাকা নিয়েও টালবাহানা চলছে। এ ছাড়া হেলথ স্কিম ইএসআই-এর টাকাও তাঁরা পাচ্ছেন না। শ্রমিকরা চান দ্রুত মিল চালু করা হোক।