এই সময়, ভাঙড়: ঈদ উপলক্ষে ভাঙড়ের ১৯টি অঞ্চলের তিন হাজার তৃণমূল কর্মীকে নতুন পাঞ্জাবি উপহার দিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। বিপুল সংখ্যক কর্মী সেই উপহার নিতে গেলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শেষে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে শওকতকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয়। অনুষ্ঠান শেষে শওকত দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন।এ দিকে, এই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রতিবাদ জানায় বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে শওকত এই অনুষ্ঠান করেছেন।অভিযোগ উড়িয়ে শওকত বলেন, ‘দলের পতাকা, ব্যানার ছাড়া আমরা একটা অগ্রিম ইদ মিলন উৎসব করেছি। কোনও দলীয় অনুষ্ঠান করিনি। বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
দলীয় কর্মীদের জন্য শওকত বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা করলে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে করুন। দলে থেকে কেউ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করেন তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কেউ কোনও গন্ডগোলে পা দেবেন না। বিরোধীরা যদি একটা পটকাও ফাটায় তার জন্য প্রশাসন আছে দেখবে।’
দলীয় কর্মীদের জন্য শওকত বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা করলে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে করুন। দলে থেকে কেউ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করেন তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কেউ কোনও গন্ডগোলে পা দেবেন না। বিরোধীরা যদি একটা পটকাও ফাটায় তার জন্য প্রশাসন আছে দেখবে।’
এ দিকে, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর কী ভাবে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। আইএসএফের ভাঙড় ২ ব্লক সভাপতি রাইনুর হক বলেন, ‘৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পরিষ্কার হয়ে যাবে মানুষ কাদের সঙ্গে আছে। উনি মানুষকে ভয় দেখাতে এবং বিভ্রান্ত করতে এ সব বলছেন।’
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীপ দাস বলেন, ‘নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর কী ভাবে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।’ এদিকে লোকসভা নির্বাচনে নানা ভাবে প্রচারের ঝড়় তুলেছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৌতিক দল গুলি। কেই জনসংযোগে বেরিয়ে চা এর দোকানো বসে চা খাচ্ছেন। আবার কেউ বা কর্মী সমর্থকের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারছেন।