মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে এবারই রাজ্যে প্রথম পয়লা বৈশাখের দিন ‘বাংলা দিবস’ পালন হওয়ার কথা। কিন্তু, আদর্শ নির্বাচিনি আচরণ বিধির জন্য অনুষ্ঠানের চমক অনেকটাই কমছে। নবান্ন সূত্রে খবর, বিধি মেনে ‘বাংলা দিবস’ পালনে কোনও বাধা নেই বলেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই মতো পয়লা বৈশাখের দিন ‘বাংলা দিবস’ পালনে যাবতীয় তোড়জোড়ও শুরু করেছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। কোথায়, কী ভাবে এই অনুষ্ঠান হবে, তার রূপারেখা ঠিক করতেও চলছে জোর আলোচনা।গত বছর ২০ জুন রাজ্যে বাংলা দিবস পালন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু, ওই দিনটিকে ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ফোনে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরে চিঠি লিখে রাজ্যপালকে এই আয়োজন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, নিজের অবস্থানে অনড় থেকে রাজভবনে ওই দিনই ‘বাংলা দিবস’ পালন করেন রাজ্যপাল। এর পালটা জবাব দিতে ‘বাংলা দিবস’ কবে, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিহাসবিদ সুগত বসুকে উপদেষ্টা করে ‘বাংলা দিবস নির্ধারণ কমিটি’ তৈরি হয়। সেই কমিটির বৈঠকে পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসাবে পালন করার সুপারিশও করা হয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, বাংলার বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট জনেদের ডেকে এ ব্যাপারে মতামত জানতে চাওয়া হবে। তারপরেই সিদ্ধান্ত হয়, পয়লা বৈশাখই হবে এই ‘বাংলা দিবস’। যদিও রাজ্য সরকার এবার এই অনুষ্ঠানকে ‘বাংলা দিবস’ নাম গিয়েছে।
বাংলা দিবস নিয়ে সম্পূর্ণ নির্দেশিকা
মূল অনুষ্ঠানটি কলকাতার রবীন্দ্র সদনের সামনে ক্যাথিড্রাল রোডে হওয়ার কথা। অনুষ্ঠান করবে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। নির্বাচনী আচরণ বিধিতে সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের না থাকার কথা বলা রয়েছে। সেজন্য ‘বাংলা দিবস’ পালনের অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতিও নিয়েছে নবান্ন। জেলা, মহকুমাতেও পালন হবে এই দিবস। তবে আড়ম্বর হবে না। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা দিবস পালন করা হবে। বৃহস্পতিবারই এই অনুষ্ঠান কী ভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলা দিবস নিয়ে সম্পূর্ণ নির্দেশিকা
মূল অনুষ্ঠানটি কলকাতার রবীন্দ্র সদনের সামনে ক্যাথিড্রাল রোডে হওয়ার কথা। অনুষ্ঠান করবে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। নির্বাচনী আচরণ বিধিতে সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের না থাকার কথা বলা রয়েছে। সেজন্য ‘বাংলা দিবস’ পালনের অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতিও নিয়েছে নবান্ন। জেলা, মহকুমাতেও পালন হবে এই দিবস। তবে আড়ম্বর হবে না। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা দিবস পালন করা হবে। বৃহস্পতিবারই এই অনুষ্ঠান কী ভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর পয়লা বৈশাখে ছুটি থাকলেও এ বছর রবিবার থাকায় ওইদিন ছুটি দেওয়া হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহেই ইদ উপলক্ষে দুটি ছুটি সঙ্গে, রামনবমী উপলক্ষে আগামী সপ্তাহের ১৭ তারিখও ছুটি থাকবে।