বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনওরকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ চলছিল। রাস্তার পাশে কাজ চলছিল। পুরোনো পাঁচিল গার্ড না করেই কাজ করা হচ্ছিল বলে দাবি তাঁদের। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। স্থানীয় বিরোধীদের নেতৃত্বের অভিযোগ, নিয়ম না মেনেই নির্মাণ কার্য চালানো হচ্ছিল। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত এলাকায় জি প্লাস ফোর আবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেআইনি ভাবে এই অনুমিত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। প্রধানের ওয়ার্ডেই এক কাজ হলে অন্য জায়গায় কী হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিরোধী নেতৃত্বরা।
যদিও বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ মানেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, আবাসন তৈরি হচ্ছিল জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে। একটা মিটার ঘর ছিল পাঁচিলে। সেটি ভেঙে পরে।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই আবাসন নির্মাণের জন্য ভারী গাড়িতে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই কারণে রাস্তায় ধস নামছে। অনেকবার বারণ করা হলেও শোনেনি।
পাশাপাশি, এও জানা গিয়েছে, মৃত শ্যামল দাস প্রমোটার গনেশ দাসের দাদা। গনেশ বলেন, ‘বাঁশ দিয়ে পাঁচিলে সাপোর্ট দেওয়া ছিল। কপালে ছিল দুর্ঘটনা হয়ে গিয়েছে। গত পনরো দিন ধরে কাজ চলছিল। আজ সকাল থেকে কুড়ি জন শ্রমিক কাজে লাগে।’ এরপরেই হঠাৎ এই দুর্ঘটনা হয়। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ আবাসন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই আবাসনের পাশেই ছিল বেশ কিছু ঝুপড়ি। আবাসনের একাংশ চাপা পড়ে এই ঘটনায় মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। এরপরেই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করে পুরসভা। এবার প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হুগলি জেলায়।
