Calcutta High Court,কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, বাংলার জন্য ৫৮ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন বরাদ্দ – petroleum ministry new allotment of kerosene oil after high court order


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, এবার কেরোসিনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে বাধ্য হল কেন্দ্র। পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের তরফে এপ্রিল মাসে বাংলায় জন্য ৫৮ হাজার ৬৬৮ কিলো লিটার কেরোসিন বরাদ্দ করা হয়েছে। এই মর্মে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। যদিও এই বরাদ্দ এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যকে তুলতে হবে, বলা হয়েছে এমনটাই। এখানে কত কেরোসিন প্রয়োজন, তা পেট্রলিয়াম মন্ত্রককে জানানোর জন্য রাজ্যের খাদ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের বরাদ্দের ৪০ শতাংশ চাওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।উল্লেখ্য, পেট্রলিয়াম মন্ত্রক যে পরিমাণ কেরোসিন বাংলার রেশন গ্রাহকদের জন্য বরাদ্দ করে তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আইনি লড়াই লড়ে চলেছে। কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের জন্য গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ কমানো হয়নি। তবে ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়। এরপর বাংলার বরাদ্দ অনেকটাই কমিয়ে মাসে সাড়ে ৭ হাজার কিলো লিটার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রকে বাংলার জন্য কেরোসিন বণ্টন নিয়ে নীতি তৈরি থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত কেরোসিন বরাদ্দ করার কথা বলেছিল। কিন্তু, সেই নীতিকে বাদ দিয়েই বরাদ্দ কমানোয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবার নতুন করে একটি মামলা হয়। এই মামলার প্রেক্ষিতেই গত ২৭ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যতদিন না পর্যন্ত নীতি তৈরি হচ্ছে ততদিন রাজ্য যতটা কেরোসিনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানাবে, তার উপর ভিত্তি করে বরাদ্দ দিতে হবে কেন্দ্রকে।

সেই মোতাবেক কেন্দ্রের কাছ থেকে বরাদ্দের প্রয়োজনিয়তার কথা জানিয়েছিল রাজ্য। সূত্রের খবর, এই মাসে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তার থেকে কম চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। আগের সাধারণ বরাদ্দ মোতাবেক এই মাসে দেওয়া হয়েছে কেরোসিন বলে সূত্রের খবর। তিন মাসের জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকে সাধারণত ১ লাখ ৭৬ হাজার কিলো লিটার। যা মাসিক হয় ৫৮ হাজার ৬৬৮।

১৩ হাজার কোটি Vs ৩ হাজার কোটি! উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দে প্রশ্ন

এই মাসে ইতিমধ্যেই পার হয়ে গিয়েছে ১১ দিন। ফলে আর বাকি সময়ের মধ্যেই বাকি বরাদ্দ তুলে নতে হবে। প্রসঙ্গত, ডিলার সংগঠন-এর মতে, কেরোসিনের মূল্য বেড়েছে। গ্রাহকদের মধ্যে চাহিদাও অনেকটাই কমেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *