কলকাতার হোটেলের পর ডেস্টিনেশন নিউ দিঘা, কোন ফর্মুলায় ঠিকানা বদল জঙ্গি ত্বহা-শাজিবের? – rameshwaram cafe blast two prime accused reportedly moved to kolkata hotel


কলকাতার একটি হোটেলে রাত্রিবাস! নিউ দিঘা থেকে কী ভাবে NIA এবং রাজ্য পুলিশের জালে বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত! ১ মার্চ , দিনে দুপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার এক ক্যাফে। কমপক্ষে নয় জন আহত হয়েছিলেন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো সিলিন্ডার ফেটেছে। যদিও পরবর্তীতে জানা যায়, সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। আর এতে বিস্ফোরক ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে।ঘটনায় উঠে আসে আব্দুল মথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব নামক দুই জনের নাম। কিন্তু, এই ঘটনার পর এক মাস কেটে গিয়েছিল। কোনওভাবেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না ত্বহা এবং শাজিবের। শাজিব এই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ এবং তার সঙ্গী ছিল ত্বহা! এমনটাই প্রাথমিক অনুমান ছিল গোয়েন্দাদের। ত্বহা একজন তথ্য প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়র।

তাদের হদিশ দিতে পারলে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে তাদের নিয়ে আগেই NIA পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে সতর্ক করেছিল। খবর পাওয়ার পর তৎপর হয়ে উঠেছিল ভবানী ভবন এবং লালবাজার।

সূত্রের খবর, কলকাতার লেনিন সরণির একটি হোটেলে উঠেছিল আব্দুল মথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় তাঁদের গতিবিধি চিহ্নিত করা গিয়েছিল বলে যাচ্ছিল। ১২ এপ্রিল শুক্রবার কাকভোরে তাদের নিউ দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ছিল। নিউ দিঘার ওই এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ‘সকালে সেখানে দেখেছিলাম পুলিশ ঘোরাফেরা করছিল। এর বাইরে কিছু জানি না।’

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতির রাতে তাঁদের কাছে একটি তথ্য আসে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে বঙ্গ পুলিশ এবং NIA যৌথভাবে একটি অপারেশন চালায়। আর তথ্য সামনে আসার দুই ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত আয়োজন করে ওই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে কলকাতা হয়ে পর্যটন কেন্দ্রে আসার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি জেলা পুলিশ।

NIA Rameshwaram Blast Arrest : ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে সন্ত্রাসী, বাংলা থেকে NIA-র হাতে ধরা পড়া ২ জঙ্গির পরিচয় চমকে দেবে

পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই বিষয়ে যা তদন্ত তা NIA করবে।” প্রাক্তন পুলিশকর্তাদের একাংশের অনুমান, গা ঢাকার জন্য জনবহুল এবং পর্যটনকেন্দ্রকে বেছে নিয়েছিল অভিযুক্তরা। এখন বেশিরভাগ পর্যটনস্থলেই হোটেল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত নথি জমা দিতে হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পর্যটকদের গতিবিধির উপর অপেক্ষাকৃত কম নজর থাকে। সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টাই কি করেছিল এইদুই সন্দেহভাজন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত,



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *