তবে, আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকলে তাঁর মধ্যে এই ঘোষণা করায় কোনও সমস্যা হবে কিনা, সে বিষয়েও নিজের অবস্থান নিয়ে দেন অভিষেক। এদিনের সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে কেস করতে চাইলে করতেই পারে, কিন্তু আমরা অর্থসাহায্য করবই।’ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের ব্যাপারে কোনও দ্বিধাবোধ করা হবে না বলেই স্পষ্ট করে দেন অভিষেক।
আজ, শুক্রবারই আলিপুরদুয়ারের একটি নির্বাচনী সভা থেকে এই আর্থিক সাহায্যের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন আপাতত ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে, যাঁদের বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছে, মাটিতে মিশে গিয়েছে, তাঁদের ২০ হাজার টাকায় প্রয়োজনীয়তা মিটবে না বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি আইন খুঁজে বের করেছে প্রশাসন। যেটি জুলাই মাসে কার্যকর করা হয়েছে। সেই আইনের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করা হবে। দুই কিস্তিতে মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছl দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সেই আর্থিক সাহায্যের সময়সীমা জানিয়ে দেন অভিষেক। ২০ হাজার টাকা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হয়েছে। বাকি কিস্তির টাকা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেই আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আর্থিক সাহায্যের কথা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে জানাতে গেলেও ধরনা চলাকালীন সেখান থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।