তিনি বলেন, ‘এবার আর ভোট লুট করতে পারবে না তৃণমূল। ভোট কেন্দ্রের বাইরে চ্যালা কাঠ নিয়ে তৈরি থাকতে বলেন। এটা কোনও চোরেদের পঞ্চায়েত ভোট নয়, তাই এই ভোটে দিদির পুলিশ দিয়ে নয়, দাদার পুলিশ দিয়ে ভোট করা হচ্ছে। বুথে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।’ তাঁর নিদান, বাইরে চ্যালা কাঠ নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কার্যকর্তারা তৈরি থাকবে ভোট লুঠ রুখতে। যারা মাস্তানি গুন্ডামী করতে আসবে তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এর আগেও এমন একাধিক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে স্বপন মজুমদারকে ঘিরে। আবারও সেই বিতর্কিত মন্তব্যেই নিজেকে জিইয়ে রাখলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার।
এই বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী অবশ্য দিলীপ ঘোষ ও স্বপন মজুমদারকে এক সুতোয় বেধেছেন। পাশাপাশি তিনি পাল্টা বলেন, ‘বিজেপি এবার চ্যালা কাঠ নিয়ে থাকুক আর গোট গাছ কাঁধে নিয়ে থাকুক। বিজেপি বাংলায় ডবল সংখায় পৌঁছবে না। অর্থাৎ ২০১৯ সালের চেয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।’ তাঁর কথায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার তিন বারের সাংসদ। তিনি চার বারের সাংসদ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই তার মত রাজনীতবিদ সম্বর্কে বিজেপি প্রার্থীর জ্ঞান না দেওয়াটাই ভালো।
প্রসঙ্গত, এর আগে বারাসতের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন গতবারের এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ মৃণাল কান্তি দেবনাথ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রচারেও নামবো না, বিজেপিকে ভোট দেব না, অন্য কাউকে দেব।’ বারাসতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভালো প্রার্থী না দেওয়ায় তিনি আশাহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।