Rameswaram Cafe Blast Case,কী ভাবে গা ঢাকা দিত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মতিন ও মুসাভির? ২ জঙ্গির মাথার দাম জানলে চমকে যাবেন! – nia was announced prize money on rameswaram cafe blast accused abdul matheen ahmed taahaa and mussavir hussain shazib


বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম বিস্ফোরণকাণ্ডে যুক্ত সন্দেহে বাংলা থেকে ২ জনকে জালে তুলেছে এনআইএ। ধৃতরা হল আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সন্ধানে ছিল এনআইএ। তাদের মাথার দাম হিসেবে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। তাদের মাথার দাম ঠিক কত টাকা ছিল, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এনআইএ-র পক্ষ থেকে।

NIA Arrest

বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে ধৃত

মুসাভির হুসেন সাজিব আরও বেশকিছু নামে নিজেকে পরিচয় দিত। এক্ষেত্রে এনআইএ জানাচ্ছে সাজিব, মহম্মদ জুনেদ হুসেন ও মহম্মদ জুনেদ সইদ নামে নিজেকে পরিচয় দিত সে। বছর ৩০-এর সাজিবের মাথার দাম ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয় এনআইএ-র পক্ষ থেকে। এএনআই-এর পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে বেশিরভাগ সময়েই জিনস, টি শার্ট বা শার্ট পরত সে। হাতে থাকত কালো স্মার্ট ওয়াচ। এছাড়া কখনও কখনও মাস্ক এবং পরচুল ও দাড়ি ব্যবহার করেও ছদ্মবেশ ধারণ করতে মুসাভির। গা ঢাকা দেওয়ার জন্য বেছে নিত, পুরুষদের হস্টেল, পিজি, কম বাজেটের হোটেল, লজ কিংবা শেয়ার রুম।

NIA Arrest

এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার


অন্যদিকে বছর ৩০-এর আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহাও বেশকিছু নামে নিজেকে পরিচয় দিত। সেক্ষেত্রে মতিন, ত্বহা বা ভিগনেশ, সুমিত সহ আরও বেশকিছু হিন্দু নামে নিজেকে পরিচয় দিত আবদুল মতিন। এনআইএ-র তরফে জানান হয়েছে, আবদুল মতিনও বেশিরভাগ সময় পরত জিনস, টি শার্ট বা শার্ট। সঙ্গে থাকত টুপি। ছদ্মবেশ ধারণের জন্য সেও মাস্ক, পরচুল বা দাড়ি ব্যবহার করত। পুরুষদের হস্টেল, পিজি, কম বাজেটের হোটেল, লজ বা রুম শেয়ার করে বিভিন্ন জায়গায় থাক মতিন। তারও মাথার দাম ১০ লাখ টাকাই ঘোষণা করেছিল এনআইএ।
বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি যোগ! NIA-র সঙ্গে যৌথ অভিযানের দাবি পুলিশের, শুরু তরজা

প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরু রামেশ্বরম বিস্ফোরণকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তিদের হদিশ পাওয়া গিয়েছে কাঁথিতে! এনআইএ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে পাকড়াও করা হয়েছে তাদের। কী ভাবে তাদের জালে তোলা হল, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের কাছে একটি তথ্য আসে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং NIA-এর একটি যৌথ অপারেশন চালান হয়। তথ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে রামেশ্বরম বিস্ফোরণকাণ্ডে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে কোন পথে তদন্ত, তা অবশ্য তদন্তকারী সংস্থা বলতে পারবে বলে জানান পুলিশ সুপার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *