প্রার্থী | কেন্দ্র |
সাজাহান বিশ্বাস | জঙ্গিপুর |
দীপক মজুমদার | বনগাঁ |
মহিউদ্দিন আহমেদ (মাহি) | তমলুক |
আফরোজা খাতুন | কৃষ্ণনগর |
লোকসভা ভোটে নওশাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লড়াই করার হুংকার দিলেও শেষমেশ সেখান থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মজনু লস্করকে। কৃষ্ণনগর অত্যন্ত হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে তাঁর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিলেন।
মহুয়া মৈত্র মানুষের জন্য কথা বলত বলে তাঁকে সংসদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ভোটবাক্সে মহুয়াকে জয়ী করে মানুষ এর জবাব দেবে বলে বলেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, এই কেন্দ্রে BJP বাজি ধরেছে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্য অমৃতা রায়ের উপর। লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগেই তিনি BJP-তে যোগদান করেন এবং প্রার্থী হন। এদিকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক এস এম সাদি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পলাশিপাড়া কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়ী হন। তারপর দুই বার অবশ্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েও জয়ী হতে পারেননি তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই সেই কেন্দ্র থেকে ISF-এর প্রার্থী দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ISF-এর হয়ে প্রচারে নওশাদকে দেওয়া গেলেও আব্বাস সেভাবে রাজনীতির ময়দানে নেই কেন? নওশাদ এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ভাইয়েরা দায়িত্ব সামলে নিতে পারছেন। দাদা পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে অবশ্যই দলের প্রতিষ্ঠাতাকে দেখতে পাবেন। ২০২১ সালে তিনি দায়িত্ব নিয়ে প্রচার করেছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা কী ফলাফল এনে দিতে পারি তার উপর আগামীদিনে তিনি কোন দায়িত্ব নেবেন তা নির্ভর করতে চলেছে।’ পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে যে তিনি লড়বেন না, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি।